—প্রতীকী চিত্র।
ভোট এনেছেন যিনি, পদে থাকবেন তিনি। এই সূত্রেই নিচুতলায় রদবদল হতে চলেছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপিতে। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে হারের ধাক্কায় জলপাইগুড়ি জেলার সাংগঠনিক কাঠামো বদলে যাচ্ছে বিজেপির।
ধূপগুড়ি বিধানসভায় উপনির্বাচনে হার নিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দেওয়া অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে নানা কারণের সঙ্গে ভোট পরিচালনার জন্য পেশাদার কার্যকর্তার অভাবের কথা তুলে ধরা হয়েছিল। বিজেপি সূত্রের খবর, ধূপগুড়ির হার আপাতত সারা জেলাতেই বিজেপির সংগঠনকে ছাঁকনির নীচে এনে ফেলেছে। প্রথম স্তরে বুথ এবং মণ্ডল স্তরে রদবদল হবে। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘নিচুতলায় রদবদলই বড় ব্যাপার। কারণ, মাঠে থেকে ভোট করাতে হয় নিচুতলাকেই। বুথের সংগঠন শক্তপোক্ত না হলে, যত বড় নেতাই আসুন না কেন, ভোটে জেতা
যাবে না।’’
মূলত, তিনটি ছাঁকনিতে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রথমত, সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে বুথ বা মণ্ডলের নেতার এলাকায় দল কত ভোট পেয়েছে, তা দেখা হবে। ধূপগুড়ি এলাকার নেতাদের ক্ষেত্রে উপনির্বাচনের ভোটও দেখা হবে। দ্বিতীয়ত, সে নেতা গত ছ’মাসে দলের কাজে কত সময় দিয়েছেন, তা দেখা হবে। তৃতীয়ত, দলের কর্মীদের মধ্যে সে নেতার গ্রহণযোগ্যতা কতটা রয়েছে, তা বিচার করা হবে। সে সব মাপকাঠি মেনেই রদবদল হবে হলে দাবি বিজেপি সূত্রের। অন্য দিকে, পদে না থাকলেও কর্মীদের মধ্যে প্রভাব রয়েছে এবং কোনও কারণে ‘অভিমানী’ হয়ে বসে আছেন, এমন নেতাদের খুঁজে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশও এসেছে দলে।
জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘বিজেপি সর্বভারতীয় এবং বৃহত্তম দল। নিরন্তর সাংগঠনিক সম্প্রসারণের মধ্য দিয়েই দল আজ এই জায়গা অর্জন করেছে। এই সাংগঠনিক প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন উপলক্ষে বিজেপি ‘সেবা সপ্তাহ’ নামে একটি কর্মসূচি পালন করছে। আরও দিন-পনেরো সেই কর্মসূচি চলবে। তার পরে এবং দুর্গাপুজোর আগে, দলে এই রদবদল হবে বলে সূত্রের খবর।