দলের আগে চড়া দাম মাছ, মাংসর। প্রতীকী চিত্র।
আগামিকাল, মঙ্গলবার দোল। তার আগে শিলিগুড়ির মাছ-মাংসের বাজারে আগুন৷ রবিবার থেকেই শহরের বিভিন্ন বাজারে মাছ ও মাংসের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে৷ মঙ্গলবার ও বুধবার বিশেষ করে খাসি ও পাঁঠার মাংসের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা৷
দোলের সময়ে শহরের প্রতিটি বাজারে মাংসের দোকানগুলিতে উপচে পড়া ভিড় থাকেই। চাহিদা বেশি থাকায় দিন কয়েক আগে থেকেই মাংস বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। এমনিতেই গত কয়েক বছরে খাসির মাংসের দাম মাত্রাছাড়া বাবে বেড়েছে বলে সাধারণ বাসিন্দাদের বক্তব্য। দোলের আগে ফের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন সেই সব মধ্যবিত্ত মানুষ৷ তাঁদের কথায়, অন্যান্য সময় খাসির মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়৷ কিন্তু রবিবার থেকে সেই মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে৷ মহম্মদ আসিফ নামে এক মাংস বিক্রেতার কথা, ‘‘দোলের সময়ে পাঠার মাংসের ব্যাপক চাহিদা থেকে৷ কয়েক মাস আগেই বাইরে থেকে ছাগল নিয়ে আসা হয়েছে৷ গাড়ির তেলের খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাংসের দামও বাড়াতে হয়েছে৷ যদিও দোলের সময় বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে মাংসের দাম একটু বেশিই থাকে৷’’ মঙ্গলবার ও বুধবার দাম আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা তাঁদের। অনেকেই তাই খাসির মাংসের বদলে মুরগি বা মাছের দিকে ঝুঁকছেন।
তবে সেখানেও খুব একটা রেহাই নেই। একই ভাবে দাম বেড়েছে মুরগির মাংসেরও৷ এ দিন প্রায় ১৫০ টাকা কেজি দরে মুরগির মাংস বিক্রি হয়েছে৷ অন্যান্য সময় এই দাম ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে থাকে৷ দাম বেড়েছে মাছেরও৷ প্রায় সব ধরনের মাছই কেজি-প্রতি ৫০-১০০ টাকা করে বেড়ে গিয়েছে৷ চিতল, চিংড়ি, ইলিশ মাছের দাম অনেকটাই বেশি৷ তবে মাছ-মাংসের বাজার শুধু নয়। আবির, রঙের বাজারেও একই ছবি। শহরের এক ক্রেতা জানালেন, শিশুদের পিচকারিও অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই দামি এ বছর।