প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের বারান্দা থেকে স্কুলের কর্ণধার তথা প্রধান শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে করণদিঘি থানার আলকাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহিনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম ধরণীচন্দ্র সিংহ (৪০)। ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। তিনি করণদিঘি রানিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়কও ছিলেন। এ দিন বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে ওই স্কুলের বারান্দার টিনের চালার কাঠের সিলিং থেকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন বাসিন্দারা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধরণীর স্ত্রী পুস্পা গৃহবধূ। তাঁদের চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বছর পনেরো আগে বিহিনগরে প্রাথমিক স্কুল খোলেন ধরণী। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বার হন ধরণী। এর পরেই স্কুলের বারান্দা থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
তাঁর ভাই সত্যেন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, তাঁদের বড়দা বলরাম সিংহের এলাকায় বৈধ মদের দোকান ছিল। দু’মাস আগে ওই দোকান থেকে বলরামের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। করণদিঘির বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। সত্যেন্দ্রনাথ বলেন, “বড়দা খুন হওয়ার পর থেকেই মেজদা (ধরণী) অবসাদে ভুগছিলেন। মেজদার ধারণা ছিল, বড়দার খুনের ঘটনায় জড়িত আসল দুষ্কৃতীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। সেই অবসাদেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা পুলিশকে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করেছি।”