Migrant worker

পরিযায়ী শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, লকডাউনের জেরে তিন মাস ধরে রতন কর্মহীন ছিলেন। রোজগার না থাকায় তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৬:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক পরিযায়ী শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। বুধবার সকালে রায়গঞ্জ ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়া বিল এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রতন বর্মণ (৪২)। বাড়ি মালিবাড়ি এলাকায়। এ দিন বালিয়া বিল এলাকার একটি কদম গাছের ডাল থেকে গলায় দড়ির ফাঁসে ওই ব্যক্তির দেহ ঝুলতে দেখেন বাসিন্দারা। তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এ দিন মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, লকডাউনের জেরে তিন মাস ধরে রতন কর্মহীন ছিলেন। রোজগার না থাকায় তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার জেরেই তিনি এ দিন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের দাবি, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের পরিবারের তরফে এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমারের বক্তব্য, ওই ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিললে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।

রতনের স্ত্রী প্রভা দিনমজুরি করেন। তাঁদের দুই ছেলে, এক মেয়ে। মৃতের জামাই শঙ্কর বর্মণ জানিয়েছেন, রতন বিহারের ছপরায় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। লকডাউনের জেরে তিন মাস ধরে ওই ইটভাটা বন্ধ রয়েছে। ১৫ দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে স্থানীয় একটি স্কুলে ১০ দিন কোয়রান্টিনে ছিলেন। পাঁচ দিন আগে সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন। শঙ্কর জানান, তাঁর শ্বশুরের টাকাতেই সংসার চলত। রোজগার না থাকায় তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। বাড়ি ফেরার পরে তিনি ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করতে উৎসাহী ছিলেন না।

Advertisement

তদন্তকারীদের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রতনের স্ত্রী প্রভা মহারাজা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। এর পরেই রতন প্রভার সঙ্গে কথা না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাই প্রভার আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিবাদের জেরে রতন আত্মহত্যা করেছেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement