লরিতে গুলি, আহত ব্যবসায়ী

রাস্তায় পাথর ফেলে যাত্রীবোঝাই একটি লরিতে গুলি চালিয়ে হামলা করল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পরানপুর এলাকার এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কালিয়াচকের এক ব্যবসায়ী। আহত হয়েছেন আরও তিন ব্যবসায়ী। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও গুলিবিদ্ধ মেহবুব শেখ আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৫ ০২:৩২
Share:

রাস্তায় পাথর ফেলে যাত্রীবোঝাই একটি লরিতে গুলি চালিয়ে হামলা করল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পরানপুর এলাকার এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কালিয়াচকের এক ব্যবসায়ী। আহত হয়েছেন আরও তিন ব্যবসায়ী। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও গুলিবিদ্ধ মেহবুব শেখ আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। কালিয়াচকের বাবলার দুলালগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা বছর তিরিশের ওই ব্যবসায়ী গরু কেনাবেচা করেন।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে দুলালগঞ্জ গ্রামের মেহবুব শেখ, সেলিম শেখ, সাদ্দাম শেখ, ফেটু শেখ-সহ মোট ১০জন মিলে গরু কেনার জন্য একটি লরিতে বিহার যাচ্ছিলেন। রবিবার বিহারের পাটনার বকতারপুর হাটে গরু কেনা বেচা হয়। সেখানেই তাঁরা যাচ্ছিলেন। পরানপুর এলাকার রাস্তায় উপরে পাথর পড়ে থাকতে দেখে গাড়ি থামান তাঁরা। তার পরেই ২৫-৩০ জনের একটি দুষ্কৃতীদল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ব্যবসায়ীরা বাধা দেন। তাখনই তাঁদের মারধর করা হয় এবং গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। মেহবুব শেখের বাঁ হাতে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়লে, টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।

অন্য ব্যবসায়ীরা মেহবুবকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করান। দুষ্কৃতীদের মারে জখম হন সাদ্দাম, সেলিম ও ফেটু শেখও। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ছিল। মেহবুবের কাছে ছিল ৮৫ হাজার পাঁচশো টাকা। এ ছাড়া বাকিদের কাছে ছিল প্রায় চার লক্ষ টাকা। সাদ্দাম শেখ বলেন, ‘‘আমরা প্রতি শনিবার গরু কেনার জন্য বিহারে যাই। রবিবার গরু কিনে লরিতে করে বাড়ি ফিরে আসি। এ দিন দেখি রাস্তায় পাথর ফেলা রয়েছে। আমরা বিহারের পরানপুর থানায় অভিযোগ করার সময় পাইনি। রাতেই মালদহ ফিরে এসে মেহবুবকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আমরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করব।’’ বিহারের পরানপুর থানার ওসি ধীরাজ গোস্বামী বলেন, ‘‘অভিযোগ জমা পড়েনি। ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement