পর্যটকদের সংখ্যা বাড়াতে সিকিমের ধাঁচে দার্জিলিঙেও পরিকাঠামো নিয়ে সমীক্ষার কথা ভাবছে জিটিএ। পর্যটকরা সিকিমে এসে কীরকম আতিথেয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্য পায়, তা খতিয়ে দেখতে শনিবার থেকে সিকিম সরকার চার জেলায় পর্যটন পরিকাঠামোর সমীক্ষা শুরু করেছে। সমীক্ষার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্যারিং ক্যাপাসিটি স্টাডি’। সিকিমে কত সংখ্যক পর্যটকদের সুষ্ঠুভাবে থাকার পরিকাঠামো রয়েছে তা এই সমীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। কোন পর্যটন কেন্দ্রের কতটা খামতি রয়েছে তা এই সমীক্ষাতে উঠবে আসবে বলে দাবি।
বেশ কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় সফরে গিয়ে আক্ষেপ করেছিলেন, দার্জিলিং বড্ড ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে। জিটিএ-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শুরু করা হয়েছিল গ্রিন-দার্জিলিং প্রকল্পও। যদিও, ট্যুর অপারেটরদের আক্ষেপ দার্জিলিং লাগোয়া বিভিন্ন এলাকাতে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকা সত্ত্বেও সেখানে পর্যটনের পরিকাঠামো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। ফলে মরসুমে তো বটেই, অন্য সময়েও বিপুল সংখ্যক পর্যটকের চাপ সামলাতে হচ্ছে শৈল শহরকে। ভরা মরসুমে থাকার জায়গা না পেয়ে দার্জিলিং থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন অনেক পর্যটক। অনেককেই আবার চড়া দাম দিয়ে জোগাড় করতে হয় হোটেলের সাধারণ মানের ঘর। বিভিন্ন অতিথি নিবাস, হোম-স্টে, হোটেল মিলিয়ে দার্জিলিঙে কত পর্যটক থাকতে পারেন তেমন কোনও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান জিটিএ-এর কাছে নেই। সে কারণেই সমীক্ষার কথা চিন্তাভাবনা করছে জিটিএ এবং ট্যুর অপারেটরদের একাংশও। জিটিএ-এর পর্যটন দফতরের সদস্য দাওয়া লেপচা বলেন, ‘‘প্রতি বছর দার্জিলিঙে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাঁদের ভিড় শুধুমাত্র দার্জিলিং শহরেই সীমাবদ্ধ থাকছে।’’