গুরুতর অসুস্থ বিমলকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে
আমরণ অনশনের পাঁচ দিনের মাথায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং। ১০৩ ঘণ্টা অনশনের পর রবিবার বিকেলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে।
পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনে বিরোধিতায় আমরণ অনশনে বসার তৃতীয় দিন থেকেই বিমলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল। তখন থেকেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিচ্ছিলেন চিকিৎসকেরা। এর পর অনশনের চতুর্থ দিন বিকেলের পর থেকে বিমলের শারীরিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। রাতে ফের চিকিৎসক আসেন অস্থায়ী অনশন মঞ্চে। গুরুংকে পরীক্ষার পর তিনি জানান, ‘‘বিমলের শারীরিক পরিস্থিতি এই মুহুর্তে খুবই খারাপ। রক্তচাপ ওঠানামা করছে। প্রস্রাবে রক্ত আসছে। হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। সোডিয়াম ও পটাশিয়ামও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে।’’ তবে গুরুং অনশন মঞ্চ ছাড়তে নারাজ। অনশন ভাঙার প্রশ্নই নেই, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সঙ্গীদের।
রবিবার সকালে অনশন মঞ্চে বিমলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বিজেপির এক দল সাংসদ ও বিধায়ক। সেই দলে ছিলেন দার্জিলিঙের সাংসদ সাংসদ রাজু বিস্তা, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা, কার্শিয়াং বিধায়ক বিপি বজগাই-সহ জিএনএলএফের নিরজ জিম্বা এবং সিপিআরএম-সহ পাহাড়ের কয়েকটি ছোট দলের প্রতিনিধিরা। বিমলকে বেশ কিছু ক্ষণ বিস্তা ও বার্লাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। সাক্ষাৎ শেষে বিজেপির সাংসদ-বিধায়কেরা এর পর সিংমারিতে মোর্চার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকেও বসেন। ঘটনাচক্রে, তার পরেই বিকেল নাগাদ আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিমল। মোর্চা সূত্রে খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও এখনও অনশন ভাঙেননি বিমল।
মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘অনশন চলছেই। শুধু জায়গা বদল হয়েছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।