জখম মৃণালকান্তি মল্লিক। —নিজস্ব চিত্র।
জমি বিবাদের জেরে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। ঘটনায় একজন এএসআই ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন স্থানীয় এক মহিলাও। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মালদহ জেলার গাজল থানার চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের হবিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, আহত এএসআই মৃণালকান্তি মল্লিকের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাঠির আঘাতে জখম হয়েছেন তিনি। আহত গ্রামবাসী প্রমীলা শীলও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইটের ঘায়ে আহত সিভিক ভলান্টিয়ার রাজু দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জমি নিয়ে একটা গোলমাল ছিল। পুলিশ গেলে হামলা করে কিছু মানুষ। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজল থানার চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের হবিনগর গ্রামে বাবুরাম মাহাতো নামে এক ব্যক্তি বছর চারেক আগে মারা যান। তাঁর ৩০ শতক জমি ছিল। মৃত্যুর আগে এই জমি তাঁর স্ত্রী কমলা মাহাতো এবং দুই মেয়ে যামিনী ও ফুলচাঁদের নামে করে দেন। মাস তিনেক আগে কমলা দেবী মারা গেলে তাঁর দুই মেয়ে প্রমীলাদেবীকে মায়ের জমি বিক্রি করে দেন। এ দিন বিকেলে গ্রামের কিছু মাতব্বর সেই জমি দখল করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তখন প্রমীলা দেবী বাধা দিলে গোবিন্দ সরকার ও সতীশ রায়ের নেতৃত্বে প্রায় ১০ জন যুবক তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে গাজল থানার এএসআই মৃণালকান্তি মল্লিক, দুই কনস্টেবল ও তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে গ্রামে যান। হঠাৎই কিছু মানুষ বাঁশ, লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
প্রমীলাদেবী বলেন, ‘‘আমি টাকার বিনিময়ে কমলাদেবীর মেয়েদের কাছ থেকে জমি কিনেছি। এ দিন গোবিন্দরা দলবল নিয়ে আমার জমি দখল নিতে আসে। আমি বাধা দেওয়ায় মারধর শুরু করে দেয়। পরে পুলিশকেও মারধর করে।’’