প্রতীকী ছবি।
হদিস মিলছিল না এক বৃদ্ধের। পুলিশের কাছে গিয়ে দাদুর নামে নিখোঁজ ডায়েরিও করে এসেছিলেন তাঁর নাতি ও নাতবৌ। কিন্তু অশীতিপর ওই বৃদ্ধের বাড়ির পিছনের জলাশয় থেকেই বৃহস্পতিবার তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই ওই নাতি ও নাতবৌকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার শুকদেবপুর ভগবানপাড়া এলাকায়। বৃদ্ধের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধের নাম গৌরলাল সরকার (৮৫)। কয়েক বছর ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত শনিবার থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। তা জানাজানি হওয়ার পর পড়শিরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। হদিস না মেলায় বৃদ্ধের একমাত্র নাতি অমরেশ সরকার ও তাঁর স্ত্রী প্রমীলা সরকার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পড়শিদের একাংশের দাবি, গৌরলাল নিখোঁজ হওয়ার পর অমরেশ ও প্রমীলার চালচলনে সন্দেহ তৈরি হয় অনেকের মনে। দাদু কী ভাবে নিখোঁজ হলেন, তা নিয়ে তাঁদের বক্তব্যেও বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। বুধবার তা পুলিশকে জানিয়েও এসেছেন পড়শিরা।
এর পরেই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ অমরেশদের বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে গৌরলালের দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীরাই খবর দেন থানায়। তাঁদের অভিযোগ, নাতি ও নাতবৌই গৌরলালকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছেন। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বৃদ্ধের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অমরেশ, প্রমীলা ও অমরেশের শাশুড়ি রেবা রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গৌরলাল নিখোঁজ হওয়ার পর গত পাঁচ দিনের ঘটনাক্রমের খুঁটিনাটি নিয়ে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দাদু কী ভাবে নিখোঁজ হলেন, ঠিক কখন থেকে তাঁর হদিস মিলছিল না— এ সব জানতে চাওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, ‘‘৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’