রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র
আগামিকাল, মঙ্গলবার সরকারি সফরে শিলিগুড়ি আসছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিন সকালে বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার পরে রাজ্যপাল ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কর্মাসের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তার পরেই বিকেলে স্টেট গেস্ট হাউসে দার্জিলিঙের জেলাশাসক, বিধায়ক, সাংসদের মতো জনপ্রতিনিধি, মেয়র এবং মহকুমা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যপাল। দার্জিলিং জেলায় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি’র বা মোর্চার নির্দল বিধায়কেরা রয়েছেন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের কোনও সাংসদ, বিধায়ক নেই। জনপ্রতিনিধিরা সকলেই রাজ্যের বিরোধী দলের।
এই অবস্থায় রাজ্যপালের কাছে শিলিগুড়ির সমস্যা, উন্নয়নের সম্ভাবনা থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের বঞ্চনা বা অসহযোগিতার অভিযোগ জানানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন জন প্রতিনিধিরা।
রাজ্যপালকে শিলিগুড়ির সমস্যা জানাবেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। রবিবার তিনি জানান, রাজ্যপালকে শিলিগুড়ির সমস্যা কথা বলব। উন্নয়নে নানা বাধার কথাও তুলে ধরা হবে। অশোকবাবু বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি উন্নয়নে বাধা সরাতে তিনি সহযোগিতা চাইলে করতে পারেন। রাজ্য কেন্দ্রের সহযোগিতা থেকে শিলিগুড়ি বঞ্চিত না হয় তা জানাব।’’ তবে রাজ্যপাল সংবিধানের বাইরে অতিরিক্ত ক্ষমতার প্রাধান্য দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
এ দিন মেয়র জানান, মূখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে একাধিকবার এসেছেন। জেলাশাসক দলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু বিরোধী বলে সিপিএমের জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয় না। অনেক বার মূখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিলেও সময় দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকারে অনেক প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকাও দিচ্ছে না। কয়েকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাও শিলিগুড়িকে দেওয়া হয়নি।
সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যপাল জেলার রাজ্যের বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে শিলিগুড়ির পরিস্থিতি জেনে নিতে চাইছেন। সমতলের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ের অবস্থাও কথাও তিনি বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক বা মোর্চার বিধায়কদের কাছ থেকে শুনবেন। এর পরে প্রয়োজনে রাজ্যপাল কেন্দ্রকে সব বিস্তারে সব জানাতে পারেন। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকারও রাজ্যপালের সভায় যাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল জানতে চাইলে মহকুমা এলাকার সমস্যার কথা জানাব। উন্নয়ন এবং আইনশৃঙ্খলার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। আমাদের কিভাবে অসহযোগিতা করা হয় তাও বলা হবে।’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার জানান, তাঁদের কাজ করতে কী কী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সব রাজ্যপালকে জানাব।