রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (বাঁ দিকে), শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (ডান দিকে) ফাইল ছবি।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে সরানোর ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়লেন ধনখড়। রাজ্যপালের সরাসরি হুঁশিয়ারি, তাঁর অনুমতি ছাড়া যত উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে, সব খতিয়ে দেখবেন তিনি। না হলে কঠোর পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
দার্জিলিং যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে রাজ্যপাল বেনজির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘আমি সরকারকে বলেছি, আমার অনুমতি ছাড়া যত উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখব। না হলে আমাকে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি, শিক্ষামন্ত্রী আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করলেন না। বলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করে দেব! আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য কেন রাজ্যপালও করে দিন। তা হলে হয়তো আপনি শান্তি পাবেন। এই আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।’’
নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের বিরোধ নতুন নয়। কিন্তু রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে যে ভাবে তিনি সরাসরি আক্রমণ শানালেন, তাকে ‘অভূতপূর্ব’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রত্যাশিত ভাবেই রাজ্যপালের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্য সম্পাদক তথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘জগদীপ ধনখড় এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন। আমার মনে হচ্ছে এতক্ষণ বিজেপি-র পথসভা শুনছি। রাজ্যপাল পদের গরিমা ধরে রাখুন, এটাই কাম্য।’’