মুখোমুখি: গৌতম দেব ও মোহন বসু। নিজস্ব চিত্র
জলপাইগুড়িতে দলের গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকানোর চেষ্টা শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। চলতি সপ্তাহেই জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। দলীয় সূত্রের খবর, কলকাতায় মোহনবাবু দেখা করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে। বুধবার কলকাতা থেকে ফিরে বিকেলে শিলিগুড়িতে তিনি বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিং জেলার কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেবের সঙ্গে। এর আগে দুপুরে গৌতম আবার জলপাইগুড়ি গিয়ে সেই জেলার সদ্য নিযুক্ত সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর সঙ্গে বৈঠক করে আসেন। নতুন জেলা কমিটি গঠন-সহ নানা সাংগঠনিক বিষয়ে তাঁদের কথা হয়েছে। তাতে মোহনকে দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেও দলের অন্দরেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে কৃষ্ণকুমার কল্যাণীকে জেলা সভাপতি করার পরেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। পুরনো এই দুই নেতা কংগ্রেসের থাকা সময় থেকেই আলাদা শিবিরে ছিলেন। পরপর তৃণমূলে এসেও তাঁরা যে দুই মেরুতেই অবস্থান করেন, তা জলপাইগুড়িরবাসীর অজানা নয়। নতুন সভাপতি নিয়োগের পরে দলের সিদ্ধান্ত ভাল হবে বললেও নাম না করে মোহন কৃষ্ণকে কটাক্ষ করেন। মোহন বলেছিলেন, ‘‘দল যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিশ্চয়ই ভালই হবে। তবে জলপাইগুড়ি জেলার চা শ্রমিকদের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হবে, তা বলতে পারব না।’’ কৃষ্ণ চা বাগানের মালিক, দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী। তাই বাগান মালিক দলের কান্ডারি হলে চা শ্রমিকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া কী হবে, সে দিকেই ইঙ্গিত ছিল মোহনের।
এ দিন গৌতমের সঙ্গে বৈঠকের পর মোহন বলেন, ‘‘আমি তো কারও সম্পর্কে কিছু বলিনি। নানা ধরনের প্রচার চলছে। আমরা সকলেই তৃণমূলে আছি। গৌতমবাবুর সঙ্গে দলের সাংগঠনিক এবং উন্নয়নের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম।’’ কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম বলেছেন, ‘‘মোহনদা আর আমি একসঙ্গে আশির দশক থেকে একসঙ্গে কাজ করছি। কংগ্রেস করেছি। এখন তৃণমূলে। সমস্যার কিছুই নেই। সকলে মিলে দলকে শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য।’’