গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
স্নাতকের প্রথম সিমেস্টারে বহু পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার পরে, পুনর্মূল্যায়নে বাড়তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মালদহ এবং দুই দিনাজপুরের কলেজগুলির অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠকে কোনও পরীক্ষার্থী সর্বাধিক চারটি বিষয়ে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ পাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, কলেজগুলিতে ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার বাড়াতে বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসানোর পরামর্শ দেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়। দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত দীর্ঘ বৈঠক হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কলেজগুলির অধ্যক্ষেরা।
জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) চালুর পরে স্নাতকের প্রথম সিমেস্টার পরীক্ষায় ‘হোঁচট’ খান গৌড়বঙ্গের অনেক পড়ুয়া। তাঁদের দাবি, ‘মেজর’, দু’টি ‘মাইনর’ এবং চারটি ঐচ্ছিক বিষয় নিয়ে সাতটি বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে হয়। ৭৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় সিমেস্টারে উঠলেও একাধিক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হন। তাঁদের অনুত্তীর্ণ বিষয়গুলিতে ফের পরীক্ষা দিতে হবে। তাই উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা সরব হন। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, তিনটি বিষয়ে পুনর্মূল্যায়ন করা যায়। এর জন্য, বিষয় পিছু ১০০ টাকা করে খরচ হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এক জন পরীক্ষার্থী ২০০ টাকার বিনিময়ে সর্বাধিক চারটি বিষয়ে পুনর্মূল্যায়ন করাতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় পুনর্মূল্যায়নে বিষয়ের সংখ্যা বাড়িয়েছে। এ ছাড়া, ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” প্রথম সিমেস্টারের ফল সামনে আসার পরে কলেজগুলিতে ক্লাস, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাজিরা, পাঠ্যক্রম নিয়েও অভিযোগ ওঠে। এ দিন তিন জেলার ২৫টি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠকে ছাত্রছাত্রীদের বায়োমেট্রিক যন্ত্রে হাজিরার পরামর্শ দেন উপাচার্য। তিনি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মান উন্নয়ন নিয়ে বৈঠকে একাধিক আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, আগামী দিনে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।”