গরুমারা জাতীয় উদ্যান। — ফাইল চিত্র।
খুলে গেল সমস্ত জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। সকাল থেকেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়, প্রথম দিনই দেখা মিলল গণ্ডার, বাইসন, হাতির। সকাল থেকেই জঙ্গল সাফারির টিকিট সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ লাইন লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে।
তিন মাস জঙ্গল বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে গেল জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন গরুমারা জাতীয় উদ্যান,চাপরামারি, লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সামনে।
বন্যপ্রাণীদের প্রজননকালীন সময় ধরা হয় ১৫ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। পাশাপাশি এই সময় জঙ্গলে বর্ষার কারণে গাছপালা বেড়ে যায়। যে কারণে এই সময় পর্যটকদের ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে।
এই তিন মাসের সময়সীমা বৃহস্পতিবার থেকে শেষ হয়েছে। তাই শুক্রবার থেকে সমস্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং জাতীয় উদ্যান খুলে গেল পর্যটকদের জন্য। তিন মাস জঙ্গল বন্ধ থাকার ফলে ডুয়ার্সের গরুমারা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান-সহ চাপরামারি, বক্সা, চিলাপাতায় সমস্ত বনাঞ্চলের গভীরে থাকা বন বাংলোগুলিতে পর্যটকদের থাকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। শুক্রবার থেকে ফের জঙ্গলের গভীরে রাত্রিবাস, হাতির পিঠে সাফারি এবং জঙ্গল সাফারি করতে পারবেন পর্যটকেরা।
তাই বন দফতরের তরফে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে সমস্ত বন বাংলাগুলিকে। পাশাপাশি কুনকি হাতিদেরও প্রস্তুত করা হয়েছে, সাজানো হয়েছে। গরুমারা, চাপরামারি, জলদাপাড়া, নেওড়া জঙ্গল ক্যাম্প, বক্সা-সহ সমস্ত বনাঞ্চলে প্রবেশ করার পাশাপাশি রাত্রি বাসের জন্য বন বাংলোগুলি বুক করতে পারবেন পর্যটকেরা। করা যাবে অনলাইনে বুকিংও। এত দিন ধুপঝোরার গাছবাড়িতে অফলাইন বুকিং ছিল। এখন থেকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের বনবাংলো ছাড়া প্রায় সব বনবাংলোতে অনলাইন বুকিং করা যাবে।
শুক্রবারই জঙ্গলের গভীরে জিপ সাফারিতে গিয়ে পর্যটকদের নজরে পড়েছে হাতি, বাইসন, গন্ডার, ময়ূর। প্রথম দিনই এত বন্যপ্রাণী দেখতে পেয়ে খুশি পর্যটকরা। অন্য দিকে, বন দফতরের তরফেও প্রচার চালানো হচ্ছে যাতে পর্যটকেরা জঙ্গল ভ্রমণে এসে কোনও ভাবে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেলফি তোলা বা বন্যপ্রাণীদের ছবি তোলার চেষ্টা না করেন। কারণ জঙ্গলে ঘুরতে এসে বন্যপ্রাণীর সাথে সেলফি তুলতে গিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।