প্রতীকী চিত্র
ভিন্রাজ্যে পাচারের সময় উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ সোনার বিস্কুট। রবিবার রাতে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) অফিসারেরা শিলিগুড়ির চম্পাসারি মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেগুলি উদ্ধার করে। পাচারের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়িও। সোমবার অভিযুক্তদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। তাঁদের জেল হেফজত হয়েছে।
ডিআরআই সূত্রের খবর, মণিপুরের মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে সোনার বিস্কুটগুলি এদেশে আনা হয়। তারপরে অভিযুক্তরা সেগুলি অসমের গুয়াহাটি থেকে সংগ্রহ করে গাড়ি নিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ১৮টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। প্রতিটির ওজন ১৬৬ গ্রাম। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ কেজি। বাজারমূল্য ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। বিস্কুটগুলি গাড়ির মাঝের সিটের নিচে টেপ দিয়ে আটকে এক কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে ভরে লুকনো ছিল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতদের নাম অঙ্কিত প্রকাশচন্দ জৈন এবং গৌরব বংশীলাল জৈন। বছর ৪০-এর অঙ্কিতের বাড়ি মহারাষ্ট্রের জলগাঁ-র নিভৃতি নগরে। ৩৩ বছরের গৌরবের বাড়ি জলগাঁ-র বিবেকানন্দ নগরে। দু’জনই সোনা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। সোনার বিস্কুটগুলি মহারাষ্ট্রের দিকেই নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে সন্দেহ।
অভিযুক্তদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অখিল বিশ্বাস। তাঁর দাবি, ডিআরআই বারবার সোনার বিস্কুটগুলিকে বিদেশি বলছে। কিন্তু এগুলিতে বিদেশি মার্কিং নেই। অভিযুক্তরা গুয়াহাটির দিক থেকে নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছে। তাঁর দাবি, বিদেশি সোনা এবং ভারতীয় সোনার শুদ্ধতার পরিমাপ রয়েছে। সেটাও কিছু বলা হয়নি। ২৮ সেপ্টেম্বর ফের মামলার শুনানি হবে।
ডিআরআই অফিসারেরা জানাচ্ছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মণিপুর সীমান্ত দিয়ে সোনার বিস্কুট, বার এদেশে নিয়ে আসার চক্র বরাবর সক্রিয়। গত এক বছরে বহু কোটি টাকার সোনা শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে। চিন সীমান্ত দিয়ে সোনা এলে শিলিগুড়ি হয়ে পাচারের চেষ্টা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, অভিযুক্তরা মহারাষ্ট্র থেকে গুয়াহাটি এসে চোরাবাজার থেকে কর ফাঁকি দিয়ে সোনা কিনবে এটা ভাবাই যায় না। সেটা মহারাষ্ট্রেই তারা করতে পারতেন। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে এসে গাড়ির সিটের তলায় লুকিয়ে সোনা নিয়ে যাওয়াটা সন্দেহ যথেষ্টই বাড়িয়েছে তাদের।