উদ্ধার: এই সোনার বিস্কুটগুলিই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
ভুটান থেকে বিহারের পাচারের পথে কোটি টাকা মূল্যের ১০ কেজি সোনা ও দু’জনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার শিলিগুড়ি শাখার অফিসারেরা। শনিবার দুপুরে ফাঁসিদেওয়া থানার গোয়ালটুলি মোড়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি ছোট গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সোনা-সহ অভিযুক্তদের ধরা হয়। ছোট গাড়িটিও আটক করা হয়েছে। রবিবার শিলিগুড়ির এসিজেএম আদালতে অভিযুক্তদের তোলা হলে বিচারক কৌশিক সাধুখাঁ তাদের এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে ডিআরআই-এর আইনজীবী ত্রিদীপ সাহা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই গাড়ির ড্রাইভারের পাশের আসনের নিচে কাগজে মুড়ে দু’টি সোনার বিস্কুট ও পেছনের আসনে আরও আটটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। প্রতিটি সোনার বিস্কুটের ওজন এক কেজি। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য ৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার মতো। সোনা পাচারের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সৌরভ জৈন ও দিলীপ চৌরাসিয়া। সৌরভের বাড়ি বিহারের মজঃফরপুরে ও দিলীপের বাড়ি চম্পারণে। গাড়িটিও বিহারের।
গোয়েন্দাদের দাবি, ভুটানের জয়গাঁ-ফুন্টশেলিং সীমান্ত দিয়ে সোনাগুলি চোরাপথে এপারে আনা হয়েছিল। শিলিগুড়ি হয়ে ওই সোনাগুলি বিহারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। পরবর্তীতে সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা পাচারের ছক ছিল।
একটি ছোট গাড়িতে প্রচুর সোনা পাচার হচ্ছে বলে আগে থেকেই খবর ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের কাছে। সেই মতো তাঁরা শিলিগুড়ির অদূরে ফাঁসিদেওয়া থানার গোয়ালটুলি মোড়ের কাছে অপেক্ষা করছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ একটি বিহারের নম্বর লাগানো ছোট গাড়ি দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়। গাড়ির আসনের গদি খুলতেই প্রচুর সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারেরা উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে ৪৩০ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে। যার বাজার মূল্য ১১০ কোটি টাকা। চলতি এপ্রিল মাস থেকে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে ১৫২ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। প্রতি ক্ষেত্রেই মায়ানমার, বাংলাদেশ এবং চিন থেকে সোনা এনে দেশের নানা প্রান্তে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
আদালতের সরকারি আইনজীবী ত্রিদীপ বাবু এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আজ, সোমবার ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হবে।’’