যন্তরমন্তরে টানা ৯ দিনের ধর্না চালানোর পরে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একটি প্রতিনিধি দল। এ দিন সকাল সাড়ে ১১টায় সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অফিসে যায় মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলটি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক হয়। বৈঠকের বিষয় নিয়ে অবশ্য মোর্চা নেতারা বিশদে কিছু জানাতে চাননি। মোর্চা সূত্রে জানানো হয়েছে, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বৈঠক খুবই সদর্থক হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে গুরুঙ্গ লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি পূরণ করবেন বলেই আশা করছি।” মোর্চার সহ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, “বৈঠকের সব কিছু বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। তবে খুবই সদর্থক পরিবেশে বৈঠক হয়েছে।”
স্মারকলিপিতে মোর্চা দাবি করেছে, কেন্দ্র এবং রাজ্যের সঙ্গে জিটিএ চুক্তি পৃথক গোর্খাল্যান্ডের প্রথম ধাপ। জিটিএ কথাটির মধ্যেও গোর্খাল্যান্ড শব্দটি রয়েছে। সে কারণে মোর্চার দাবি, জিটিএ আইন রাজ্য বিধানসভায় অনুমোদিত হওয়ায়, গোর্খাল্যান্ডের ধারণারও স্বীকৃতি মিলেছে। গত লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে শিলিগুড়ির সভায় এসে মোদী যে মন্তব্য করেছিলেন, তা-ও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সভায় মোদী গোর্খাদের স্বপ্নকে তাঁরও স্বপ্ন বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এ দিন মোর্চার প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রী, রোশন গিরি, বিনয় তামাঙ্গ, অনীত থাপাও। বিজেপির সঙ্গে মোর্চার পুরোনো সম্পর্কের কথাও এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে জানানো হয়েছে। তাতে গত দু’টি লোকসভা ভোটে মোর্চা যে দার্জিলিঙে বিজেপির প্রার্থীকে সমর্থন করেছে তা বলা হয়েছে। বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে মোর্চার দাবি যে সহানভূতির সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাসের কথা বলা হয়েছে, সে কথাও জানানো হয়েছে। বিনয় তামাঙ্গ বলেন, “দার্জিলিঙের পরিকাঠানোগত উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার আর্জিও জানানো হয়েছে।”
মোর্চার তিন সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল নর্থ ব্লকে অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিংহের সঙ্গেও দেখা করেছেন। দার্জিলিং এলাকাকে দেশের মধ্যে অন্যতম ‘পিছিয়ে পড়া’ এলাকা বলে জানিয়ে আগামী ৫ বছরের জন্য অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজের দাবি করেছে ওই প্রতিনিধি দল।