প্রতীকী ছবি।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও যোগাযোগ না করার অভিযোগে প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধর্নায় বসলেন এক তরুণী। মালদহের চাঁচলের গৌরীপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে ওই তরুণী ধর্না শুরু করেন। বুধবার সকালে বাড়িতে তালা দিয়ে চলে যান ওই যুবকের মা। পরে তাঁকে খুঁজে নিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেওয়ার পরে বাড়ি ফেরেন তরুণী। খবর পেয়ে এলাকায় যান গ্রামীণ পুলিশকর্মীও। যদিও তরুণী বা যুবকের পরিবার, কোনও তরফেই অভিযোগ জানানো হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের বালুঘোরট এলাকায়। সাত বছর আগে বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে গৌরীপুরে মামাবাড়িতে থাকেন ওই তরুণী। ওই এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে তরুণীর দাবি। ওই যুবক ভিন্ রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। এখনও তিনি ভিন্ রাজ্যেই রয়েছেন। ওই যুবক তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে দাবি তরুণীর। কিন্তু কয়েক মাস ধরে ওই যুবক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ওই যুবকের বাড়ির দরজায় এসে ধর্নায় বসেন তরুণী। বাসিন্দাদের একাংশ তাঁকে বাড়ি ফিরতে বললেও তিনি রাজি হননি। ওই যুবক ফেরা না পর্য়ন্ত তিনি ধর্না থেকে উঠবেন না বলেও জানিয়ে দেন। সারা রাত ধরে একাই দরজায় বসে কাটিয়ে দেন তিনি। এ দিন সকালেও তরুণী ধর্নায় বসে রয়েছেন জেনে ভিড় জমে। ওই যুবকের মা বাড়িতে তালা দিয়ে চলে যান। এলাকার বাসিন্দারাই ওই যুবকের মা-কে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
ওই যুবকের মা বলেন, ‘‘ছেলে বাড়িতে ফিরলে যা হওয়ার হবে বলে ওকে বাড়ি ফিরতে বলেছিলাম। কিন্তু তার পরেও ও বাড়ির সামনে বসে ছিল। ছেলের ওকে কী বলেছে তা তো আমরা জানি না।’’
ওই তরুণীর দাবি, ‘‘ও আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এলাকার সকলেই তা জানেন। কিন্তু আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। সম্পর্ক রাখতে চাইছে না বলেই ধর্নায় বসতে বাধ্য হয়েছি।’’
চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘কোনও তরফেই অভিযোগ জানানো হয়নি। অভিযোগ হলে আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব।’’