খুশি: বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ধৌলি ঝা। ইংরেজবাজারে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
মালদহে অব্যাহত ছাত্রীদের সাফল্যের ‘রথ’। হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম হয়ে নজর কেড়েছিলেন সুজাপুরের সাদিয়া সিদ্দিকা। এ বার মেডিক্যালের সর্ব ভারতীয় পরীক্ষায় দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সপ্তম র্যাঙ্ক করে নজর কাড়লেন ইংরেজবাজারের ধৌলি ঝা। এমবিবিএস পাশ করে এই পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। ভবিষ্যতে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক হতে চান তিনি।
মঙ্গলবার, প্রকাশিত হয়েছে এমস পরিচালিত মেডিক্যালের আইএনআই-সিট পরীক্ষার ফলাফল। সর্বভারতীয় স্তরের সেই পরীক্ষায় সম্ভাব্য সপ্তম হয়েছেন শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মকদমপুরের বাসিন্দা ধৌলি ঝা। ডাক্তারদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সে ভর্তির জন্য দেশ জুড়ে এই পরীক্ষা হয়। ২০১২ সালে মাধ্যমিকে জেলায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন ধৌলি। ২০১৪ সালে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে মেডিক্যালে ২১৯ র্যাঙ্ক করেন। ভর্তি হন কলকাতার নীলরতন মেডিক্যাল কলেজে। এমবিবিএস পাশ করার পরে, আইএনআই-সিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন বলে ধৌলি জানান।
জুন মাসে পরীক্ষা থাকলেও করোনা আবহে অনলাইনে পরীক্ষা হয় ২২ জুলাই। দিল্লির এমসে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান ধৌলি।
তিনি বলেন, “মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তাই আইএনআই-সিট পরীক্ষা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর জন্য নিয়ম করে পড়াশোনা করেছি।” তাঁর বাবা চঞ্চল ঝা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আর মা পুষ্পিতা মিশ্র শিক্ষিকা। বাড়ির বড় মেয়ের সাফল্য খুশি এই শিক্ষক দম্পতি।
ধৌলির মা পুষ্পিতা এ দিন বললেন, “ছোটও মেয়েও ডাক্তারি পড়ছে। বড় মেয়ের এমন সাফল্যে খুবই ভাল লাগছে।’’