সৌজন্য: দলীয় কর্মী-সমর্থকদের অভিবাদন নিচ্ছেন গৌতম দেব। সোমবার পুরভোটের ফল ঘোষণার পর শিলিগুড়ি কলেজের মূল গেটে। ছবি: স্বরূপ সরকার
গাওস্করের শিক্ষা
গৌতম: কখন থামতে হবে, সেটা জানা প্রয়োজন। গাওস্করকে দেখুন, ঠিক সময়ে রিটায়ার করেছেন। কিন্তু সিপিএম নেতা (অশোক ভট্টাচার্য) কি সে সব শুনছেন?
কাজে অগ্রাধিকার
গৌতম: বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের বন্দোবস্ত করতে হবে। বর্ষা আসার আগে শহরের সমস্ত বড়-ছোট নিকাশি নালা পরিষ্কার করাতে হবে। যানজট সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ করতে হবে। তার পরে আমাদের তৈরি নাগরিক পরিষেবার ‘রোডম্যাপ’ ধরে কাজ হবে। ‘রোডম্যাপ’ বা কাজের রূপরেখা তৈরিই আছে।
কলকাতা মডেল
গৌতম: কলকাতাকে রোল মডেল করতে চাই। কিছু দিনের মধ্যেই কলকাতায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে। সেখানে গিয়ে কলকাতা পুরসভার কয়েক জন আধিকারিকদের সঙ্গে বসব। তাঁদের কাজ থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে।
ঢেলে ভোট
গৌতম: দলনেত্রীর উন্নয়নের মডেলকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন শিলিগুড়িবাসী। এমন সব ওয়ার্ডে আমরা জয় পেয়েছি, যেগুলি আশাই করিনি। অশোক ভট্টাচার্যই বলুন বা শঙ্কর ঘোষ, হেরে বাড়ি চলে গিয়েছেন। বামেদের শিলিগুড়ি মডেল নস্যাৎ করেছে মানুষ। দীর্ঘ সময়ের স্থবিরতার বিরুদ্ধে নতুনের জয়। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে এ শহরকে ‘স্বপ্নের শিলিগুড়ি’ হিসাবে আমরা গড়ব।
শান্তিশৃঙ্খলা
গৌতম: দলের সমস্ত কাউন্সিলর এবং কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বামেদের সন্ত্রাসের ভোটের ইতিহাস ভুলিয়ে আমরা শহরে শান্তির ভোট এনেছি। কোথাও যাতে গোলমাল, অশান্তি না হয়, তা কাউন্সিলররা এবং নেতৃত্ব লক্ষ্য রাখবেন।
বিরোধীদের জয়
গৌতম: শহরের কিছু ওয়ার্ডে আমরা হেরেছি। কিছু মানুষ এ বারও আমাদের সমর্থন করেননি। তাঁদের কাছে আমরা যাব। আর বামেরা নন, ব্যক্তিগত কারণে সিপিএম প্রার্থীরা জিতেছেন। হারা এলাকায় মানুষের কাছে গিয়ে আমরা কি ভুল করেছি তা জানব।
নতুন মেয়র পরিষদ
গৌতম: শহরের নতুন পুরবোর্ড উন্নয়নের বোর্ড হবে। দলনেত্রীর নির্দেশ নিয়ে নবীন ও প্রবীণ জুটি মিলিয়েই আমরা কাজ করব। গত সাত মাসের প্রশাসনিক বোর্ডের আমলে শুরু হওয়া কাজ এগিয়ে নিতে যেতে হবে।
নিজের নতুন ওয়ার্ড
গৌতম: চারবার কাউন্সিলর ছিলাম। দু’বার বিরোধী দলনেতা ছিলাম। সবই আমার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডকে ঘিরে হয়েছে। এ বারই প্রথম বাড়ির বাইরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জিতলাম। ওয়ার্ডবাসীকে আমার প্রণাম। মডেল ওয়ার্ড হিসাবে একে তৈরি করব।