গৌতম দেব।
বেআইনি জমির কারবারীদের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক ও রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। শুক্রবার বিকালে ইস্টার্ন বাইপাসের কানাকাটা মোড়ের কাছে বিধায়কের একটি দফতরে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি হয়েছে। সেই মঞ্চ থেকে মন্ত্রী বেআইনি জমি কারবারীদের নিয়ে কড়া বার্তা দেন।
এ দিন মন্ত্রী জানান, শিলিগুড়ি শহর ঘেঁষা হওয়ায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এবং রাজগঞ্জের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে নগরায়নের ছোঁয়া সবচেয়ে বেশি। উত্তরকন্যা থেকে বেঙ্গল সাফারি, ভোরের আলো থেকে একাধিক টাউনশিপ, বাইপাসের রাস্তা, জলপাইগুড়ির বিকল্প রাস্তা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি চলছে। তিনি জানান, একটি বৃহত্তর শহর তৈরির পথে রয়েছে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি।
গৌতমের কথায়, ‘‘কোথাও উন্নয়নের মাত্রা বাড়লেও জমির কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠে। এটাই নিয়ম। তবে সরকারি জমি তো বটেই বেসরকারি জমি নিয়েও বেআইনি কারবার চলবে না। আমি আগেও বলেছি, আবার বলছি, জমির বেআইনি কারবার হলে পুলিশ-প্রশাসন আইন মেনে ব্যবস্থা নেবে। কোনও দল বা রং দেখা হবে না।’’
গত একমাস ধরে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় দলীয়স্তরে বুথ ভিত্তিক সমীক্ষার কাজ শুরু করিয়েছেন গৌতম। এরমধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভায় ১৪টি সংযোজিত ওয়ার্ডও রয়েছে। সেখানে ৭০০ কর্মী কাজে নেমেছেন। কিছুদিন আগেই তিনি ওই সমীক্ষক কর্মীদের নিয়ে দীনবন্ধু মঞ্চে সভা করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার কাছে সকালে বিকালে অনেকেই জমির সমস্যা নিয়ে আসেন। আমি বিভিন্ন সূত্রেও খবর পাই। এখন রাস্তায় ৭০০ জন বুথ কর্মী থাকছেন। জমি নিয়ে কোথাও কোনও বেআইনি কারবার হলেই খবর আসবেই। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দফতরকে চিঠি দিয়ে কোথাও কোনও সরকারি জমি দখল রয়েছে কি না তা দেখতে বলা হয়েছে। কিছু জমি বেআইনি কারবারী বহু বছর আগে দখল করে বিক্রি করে দিয়েছে। সেখানে জনবসতিও বসে গিয়েছে। সেগুলি উদ্ধারের কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে নতুন করে কোথাও কাউকে দখল বা কারবার করতে দেওয়া হবে না।
উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে জমি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ‘ভোরের আলো’য় সিন্ডিকেটের অভিযোগ ওঠায় পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন পর্যটন মন্ত্রী।
এ দিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তাঁর বিধানসভা এলাকায় আরও বেশি করে সময় কাটানোর উপর জোর দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিভিন্ন কারণে সময়ের অভাবে এলাকার মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ কম হচ্ছে আমি জানি। জুন থেকে আমি বিধানসভা ২৯৫টি বুথেই পরিক্রমা শুরু করছি।’’