অনুসন্ধান: গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে পুলিশকর্তারা। বৃহস্পতিবার ধনকৈলে। নিজস্ব চিত্র
বর্ষবরণের রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক তরুণীকে পরপর দু’বার গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে ঘটনাস্থলে গেলেন জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁর সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ থানায় পৌঁছন জেলা পুলিশের অন্য আধিকারিকেরা। তার পরে ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। নির্যাতিতা তরুণী ধনকৈল মোড়ের যে হোটেলে কাজ করতেন তার আশপাশের এলাকার লোকেদের সঙ্গে কথাও বলেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দেওয়া হবে।’’
অন্য দিকে এ দিন ধৃতদের রায়গঞ্জ জেলা আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বিপাশা মণ্ডলের (দাস) এজলাসে পেশ করা হলে এক জনকে চার দিনের পুলিশ হেফাজত এবং অন্যকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, এ দিন সকাল থেকেই ধনকৈল এলাকায় ওই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ জমে। এলাকাবাসী অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি পলাতক অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করারও দাবি ওঠে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে মা এবং হোটেল মালিকের সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ থানায় যান নির্যাতিতা তরুণী। পরে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে যান রায়গঞ্জ জেলা আদালতে।
গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে কালিয়াগঞ্জের পুরপ্রধান কার্তিকচন্দ্র পাল বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাইছি।’’
সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভারতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘‘সেখানে সেখানে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ায় অপরাধ বাড়ছে। ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত অন্য অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করুক পুলিশ।’’
কালিয়াগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুজিত দত্ত বলেন, ‘‘দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’’ একই কথা বলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেব সিংহ। বিজেপির কালিয়াগঞ্জ শহর মণ্ডল সভাপতি ভবানীচরণ সিংহ জানান, ‘‘যে রাজ্যে সাংবিধানিক প্রধানকে বয়কট করা হয়, সেখানে এমন নৈরাজ্য তো চলবেই।’’