North Bengal Tea Auction Center

কমিটিই স্থির করবে চা নিলাম কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ

জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র খোলা নিয়ে আশার আলো দেখছে শিল্পমহল। সম্প্রতি এক বৈঠকে নিলাম নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে চা পর্ষদ।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৮
Share:

উত্তরবঙ্গ চা নিলাম কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র।

বন্ধ থাকা জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ আপাতত তিন সদস্যের কমিটির হাতে। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রেও আসতে পারে কমিটির প্রতিনিধিরা। চা পর্ষদের তরফে মাসকয়েক আগে জলপাইগুড়ির কেন্দ্র স্বাভাবিক করার সবুজ সঙ্কেত মিলেছিল। জোগানের সঙ্কটে ভুগছে এই নিলাম কেন্দ্র। কোন উপায়ে কেন্দ্রটি স্বাভাবিক করা যা তা নিয়ে প্রস্তাব চেয়েছিল পর্ষদ। সেই প্রস্তাবের কোনও একটিতে সিলমোহর দেওয়ার কথা চা পর্ষদের। সম্প্রতি চা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের চা নিলাম সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় দেখভাল করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে তিন সদস্যের কমিটি। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে ফের নিলাম শুরু হওয়াও সেই কমিটিরই হাতে, জানিয়ে দিল বাণিজ্য মন্ত্রক। জলপাইগুড়ির চা নিলাম কেন্দ্রের এক কর্মী কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ সংক্রান্ত বিভাগে এই নিলাম কেন্দ্রের বিষয়টি জানিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সেই অভিযোগ পাঠানো হয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রকে। বাণিজ্য মন্ত্রক চা পর্ষদ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি যাচাই করে নিলাম কেন্দ্রের কর্মী প্রতাপ রাউতকে উত্তর পাঠিয়েছে।

Advertisement

জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র খোলা নিয়ে আশার আলো দেখছে শিল্পমহল। সম্প্রতি এক বৈঠকে নিলাম নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে চা পর্ষদ। সেই বৈঠকেই গুঁড়ো চা বিক্রি নিয়েও নীতিগত বড়সড় সিদ্ধান্ত নেয় পর্ষদ। গুঁড়ো চায়ের পুরোটাই দেশের বিভিন্ন নিলাম কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। অর্থাৎ, নিলাম কেন্দ্র ছাড়া খোলা বাজারে গুঁড়ো চা মিলবে না বলেই দাবি। এ দিকে, পাতার জোগানের সঙ্কটে ভুগতে থাকা জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের পরিচালকমণ্ডলী দীর্ঘদিন ধরে গুঁড়ো চা বিক্রির সম্মতি চেয়েছে পর্ষদের থেকে। নিলাম কেন্দ্রের পরিচালন কমিটির সদস্য তথা ছোট চা বাগানের মালিকদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “গুঁড়ো চা বিক্রি করতে অন্যান্য কেন্দ্রে নতুন করে আয়োজন করতে হবে। জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে তা হবে না। যত পরিমাণই গুঁড়ো চা এই কেন্দ্রে আসুক না কেন, বিক্রি করা সম্ভব। সে কারণেই আমরা আশা করছি, দ্রুত জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নিলাম শুরু হবে।’’

২০০৫ সালে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র চালু হয়। পাতার সঙ্কটে গোড়া থেকেই ধুঁকতে শুরু করে এই কেন্দ্রের নিলাম। গত কয়েক বছর ধরে জলপাইগুডিতে নিলাম বন্ধ। যে কর্মী প্রধানমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই প্রতাপ রাউত বলেন, “দেখা যাক কী হয়।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement