ঝাঁপ-বন্ধ: ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের। নিজস্ব চিত্র
ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় রীতিমতো নাজেহাল পরিস্থিতি এলাকাবাসীর। সব থেকে মুশকিলে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও ছাত্রছাত্রীরা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি দেখা গিয়েছে নানা সংগঠনের। ইসলামপুরেও শনিবার টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছিল কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। ইসলামপুরের গুঞ্জরিয়া, চোপড়াতেও বেশ কিছু বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। তবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গত রবিবার রাতের পর থেকে ইন্টারনেট নেই ইসলামপুরে। দু’দিন আগেই ইসলামপুরে কয়েক ঘন্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা দিলেও ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার ফলে তীব্র সমস্যার মুখে ইসলামপুরবাসী। কেউ কেউ বিহারে গিয়ে ইন্টারনেট খুলে বসছে। তবে দু’দিন ধরে জাঁকিয়ে পড়েছে ঠান্ডা। রাস্তায় সন্ধ্যায় লোক অনেকটাই কমে যায়।
কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বক্তব্য, অনলাইন কেনাবেচায় এখন অনেকেই এখন অভ্যস্ত। অনলাইনে ব্যবসায়ীরাও অনেক অর্ডার দিয়ে থাকেন। টাকা লেনদেনও হয় অনলাইনে। ব্যাঙ্কের সঙ্গেও যোগাযোগ হয় সে ভাবে। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় টাকা লেনদেন থেকে শুরু করে সবই গোলমাল হয়ে পড়েছে। ইসলামপুরের মোবাইল ব্যবসায়ী সুমিত সাহা বলেন, এই কয়েক দিনের খুব ক্ষতি হল ব্যবসার। নেটের ব্যালেন্স পর্যন্ত কেউ ভরতে আসছেন না।
এর মধ্যে রবিবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষা রয়েছে। ইন্টারনেট এর অভাবে অ্যাডমিড কার্ড ডাউনলোড করতে পারছেন না কেউই। অনেক পড়ুয়াও নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে অপেক্ষা করছেন, তাঁরা নেট না থাকায় আবেদনের অবস্থা বুঝতে পারছেন না।
ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে ডাকঘরের পরিষেবাও। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়েও ফিরতে হচ্ছে অনেককে। সমস্যা দেখা দিয়েছে সহায়ক মূল্য ধান বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতেও। খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, নেট না থাকায় অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্র সমস্যা হচ্ছে। তবে আপাতত অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। নেট এলে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে ধান কেনা স্বাভাবিক রয়েছে।
ডালখোলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মনোজ গুপ্ত বলেন, ‘‘পণ্য কর অনলাইনে জমা করতে হয়। তা করতে না পারলে জরিমানা হবে না তো!’’ ডালখোলার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে নোটিস বোর্ডে লেখা, ‘নেট বন্ধ তাই ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও বন্ধ।’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকারি নির্দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজেরও কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’’