তল্লাশি: এই জমিতে বোমা বিস্ফোরণের পর পুলিশের তদন্ত। শুক্রবার চোপড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
মালদহের পর এ বার ইসলামপুরের চোপড়া। চা বাগান লাগোয়া জমিতে পরে থাকা বোমা কুড়িয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হল চার কিশোর। শুক্রবার, সকাল নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালগছ গ্রামে। ঘটনায় জখমেরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছে। ‘হ্যান্ড গ্রেনেড’ থেকে বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন গ্রামবাসীরা। ‘হ্যান্ড গ্রেনেড’ এলাকায় কীভাবে এল, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার কর্তারা।
সম্প্রতি, কালিয়াচকের গোপালনগরে পড়ে থাকা বোমা কুড়িয়ে খেলতে গিয়ে পাঁচ শিশু জখম হয়েছিল। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। এখনও সেই ঘটনা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
কালিয়াচকের ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই এ দিন চোপড়ায় গোয়ালগছ গ্রামে বিস্ফোরণে ফের চার কিশোর আহত হওয়ায় ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ছুটে গেলে চার কিশোরকে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের উদ্ধার করে চোপড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করেন। জখম কিশোরদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পরিবারের দাবি, আহতদের মধ্যে কেউ দ্বিতীয়, কেউ তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। গ্রামেরই প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া তারা। চারজনই খুব সাধারণ পরিবারের ছেলে। এ দিন বাড়ির জন্য জ্বালানি সংগ্রহ করতে বাগানে গিয়েছিল। সেই সময় তারা বাগানে ‘গ্রেনেড’ গুলি দেখতে পায়। গ্রেনেডে আগুন লাগাতেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার। সেখানে পাচারের প্রবণতা রয়েছে। অনেক সময় পাচারকারীদের ঠেকাতে হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়ে বিএসএফ। বিএসএফকে লক্ষ্য করেও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এগুলি তেমন গ্রেনেড কিনা তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন।
গ্রেনেড মজুতের কারণ খুবই গুরত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে এ দিন ডিএসপি, আইসি গিয়েছিলেন। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”