কুয়াশায় ঢাকা শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন চত্বর। মঙ্গলবার। ছবি: বিনোদ দাস।
মঙ্গলবার ভোর থেকে ঠান্ডা বেশ ভালই ছিল। ভোরের দিকে জাতীয় সড়ক, এশিয়ান হাইওয়ের ধারে বহু ট্রাক, গাড়ি ঘন কুয়াশাসায় খারাপ দৃশ্যমানতার জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়া পরিষ্কার হতে সেগুলি চলাচল শুরু করে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়িগামী বিভিন্ন সংস্থার আধুনিক স্লিপার পরিষেবার বাসগুলিও কিছুটা দেরিতে চলাচল করেছে। জলপাইগুড়িতে দুর্ঘটনা এড়াতে সব গাড়ির হেডলাইট ও ‘ইমারজেন্সি লাইট’ জ্বালিয়ে যাতায়াত করতেও দেখা যায়।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে খারাপ দৃশ্যমানতার জন্য কলকাতা, দিল্লি মিলিয়ে চারটি উড়ান বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক উড়ান রয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা মহম্মদ আরিফ জানান, সকাল থেকে খারাপ আবহাওয়া ও কম দৃশ্যমানতায় সমস্যা হয়। পাঁচটি বিমানকে গুয়াহাটি, কলকাতা-সহ অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিকেল নাগাদ বিমানগুলি গন্তব্যে পৌঁছয়। সকালে একটি বিমান কলকাতার দিক থেকে এসে ফিরে যায় বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর।
সকালে ট্রেন চলাচল হালকা প্রভাব পড়ে। বেশ কয়েকটি ট্রেন দেরিতে চলেছে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঝঞ্ঝার প্রকোপে উত্তরবঙ্গের খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি চলবে বলে আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হচ্ছে। ওই পরিস্থিতির জেরে সান্দাকফুতে তুষারপাত হয়। নাথু লা এবং উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুংয়ের মতো উঁচু পাহাড়ি এলাকায়ও তুষারপাত হয়েছে বলে দফতর সূত্রে খবর।
এ দিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মেঘলা আকাশ এবং ছিটেফোঁটা বৃষ্টি মেলে বলে জানান আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘বুধবার বিকেলের পরে ঝঞ্ঝার প্রকোপ কিছুটা কমতে শুরু করবে। তবে কুয়াশার দাপট আরও দু’-এক দিন থাকবে।’’ আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, কাল, বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রায় পতন ঘটবে। শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে বলে জানান আধিকারিকেরা।
সকালে তো বটেই বিকেলের পরে বিভিন্ন রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে গরম তাপ নিতে অনেককে দেখা গিয়েছে। ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি এবং মাটিগাড়ায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং গ্যাংটকে কনকনে ঠান্ডা রয়েছে। বিকেলের পরে পাহাড়ে হালকা হাওয়ায় ঠান্ডা আরও বেড়েছে। পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে শীতের আমেজ, তুষারপাত উপভোগ করা শুরু করেছেন পর্যটকেরা।