জমায়েত: তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচিতে গাদাগাদি ভিড়। নিজস্ব চিত্র
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চাকুলিয়ার সমসপুরে জমায়েত করে দলে যোগদান কর্মসূচি পালন করেছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগে সরব বিরোধী শিবির। করোনা-আবহে সরকারি নির্দেশিকা উড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে রবিবার তৃণমূল ওই কর্মসূচি করেছে বলে অভিযোগ তুললেন চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)। তিনি জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে নালিশ জানিয়েছেন। যদিও তৃণমূল ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শাসকদলের দাবি, রবিবার চাকুলিয়ার সমসপুরে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে প্রায় ২ হাজার নেতা, কর্মী ও সমর্থক তাদের দলে যোগদান করেন। ওই কর্মসূচিতে ছিলেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তৃণমূলের দাবি, ওই কর্মসূচিতে চাকুলিয়ার সিপিএম নেতা তথা এরিয়া সম্পাদক আব্দুস সামাদ কাদরি তাঁর অনুগামীদের নিয়ে শাসকদলে যোগ দিয়েছেন। কাদরি করোনায় আক্রান্ত। তাই তিনি সভায় যাননি। ভিডিয়ো কলে দলে যোগ দেওয়ার কথা জানান।
তা নিয়ে আরও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ভিক্টর। তিনি বলেন, ওই সভায় যোগ দেওয়ার আগে কাদরির বাড়িতে গিয়েছিলেন গোলাম রব্বানি ও কানাইয়ালাল আগরওয়াল। ওই কর্মসূচিতে কাদরির পরিবারের লোকজনও ছিলেন। ভিক্টরের অভিযোগ, এমন কাজ করে ওই দুই নেতা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে। তাঁর অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে মিটিং-মিছিল করার অনুমতি দিচ্ছে না। সেখানে শাসকদল কী ভাবে এত মানুষকে নিয়ে মিটিং-মিছিল করে?
অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের চাকুলিয়া ব্লক সভাপতি মিনহাজ আরফিন আজাদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা হয়েছে। সেখানে থাকা সবার হাতে মাস্ক তুলে দেওয়া হয়। এক জন অসুস্থ মানুষের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁরা দূর থেকে দেখা করেছেন।