বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।
রবিবার আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের সঙ্গে চেকপোস্ট কর্মীদের দুর্ব্যবহারের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট, দফতরের কর্তাদের কাছে চেয়ে পাঠালেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ৷
সেই সঙ্গে, দুর্ব্যবহারের ঘটনার অভিঘাতে রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্টে এবার থেকে দক্ষ ও স্থায়ী কর্মীদের দায়িত্বে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন বন দফতরের কর্তারা৷ ইতিমধ্যেই সেখানে কয়েকজন স্থায়ী কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে, কর্তারা জানিয়েছেন৷
সাম্প্রতিককালে একাধিকবার রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্টে বনকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে৷ সরকারি কাজ সেরে জয়ন্তী থেকে ফেরার পথে গত মাসে পিএইচই-র এক কর্তাকেও প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে চেকপোস্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার৷
চেকপোস্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে বারবার ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে ওই দিন বিকালে সেখানে যান আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল৷ কিন্তু অভিযোগ, ওই সময় সেখানে থাকা বন দফতরের এক কর্মী জেলাশাসকের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন৷ এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই জেলার প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ চাঞ্চল্য ছড়ায়, বন দফতরের অন্দরেও৷ অভিযোগ ওঠার পরই অভিযুক্ত ওই কর্মীকে চেকপোস্ট থেকে সরিয়ে দেন বন কর্তারা৷ এবার চেকপোস্টে কর্মী মোতায়েনের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনারও সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা৷ সূত্রের খবর, রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্টে মূলত চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদেরই দায়িত্বে রাখা হয়৷ যাঁদের বেশিরভাগই অস্থায়ী৷ কিন্তু রবিবারের ঘটনার পর এবার তাতে পরিবর্তন আনতে চলেছেন বন দফতরের কর্তারা৷
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যাণ রাই জানিয়েছেন, “আমরা চাইছি ওই চেকপোস্টে দক্ষ ও স্থায়ী কর্মীদের বেশি করে কাজে লাগাতে৷” সূত্রের খবর, রবিবারের ঘটনার পর ইতিমধ্যেই সেখানে দু’-তিনজন স্থায়ী কর্মী নিয়োগও করা হয়েছে৷ এক বন কর্তার কথায়, দফতরে স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা কম৷ ফলে দিনে সব সময় তাঁদের সেখানে নিয়োগ করাটাও মুশকিল৷
রবিবারের ঘটনাটি সম্পর্কে রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ওই দিনের ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছি৷ রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব৷’’