আটক হওয়া লরি। নিজস্ব চিত্র।
গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে বৃহস্পতিবার সকালে কাঠ-বোঝাই ৩টি লরি আটক করল বন দফতরের মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সূত্রে বনদফতরের কাছে খবর আসে ৩টি লরিতে করে কাঠ পাচার করা হচ্ছে। খবর পেয়েই মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা রেঞ্জার রাজকুমার পালের নেতৃত্বে অভিযানে নামেন। তাঁরা অফিস থেকে বের হওয়ার আগেই কাঠ বোঝাই লরিগুলি আংরাভাসা নদী পেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রেঞ্জার ধূপগুড়ি থানায় যোগাযোগ করেন। কিন্তু ধূপগুড়ি থানার আইসি ফোন তোলেননি বলে অভিযোগ করেছেন রেঞ্জার। আইসি ফোন না তোলায় ট্রাফিক ওসিকে ফোন করে লরি তিনটিকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ধূপগুড়ি চৌপথি পেরিয়ে যাওয়ায় সেখানে লরিদের আটকানো সম্ভব হয়নি।
এর পর মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জার ও ধূপগুড়ি থানার পুলিশ লরিগুলির পিছনে ধাওয়া করে। ফিল্মি কায়দায় ঝুমুর স্টোর সংলগ্ন এলাকায় একটি লরিকে আটক করা হয়। অপর দুটি লরি প্রায় ১৪ কিলোমিটার পেরিয়ে ময়নাগুড়ি থানা এলাকায় ঢুকে পড়ে। ওই দুটি লরিকেও রেঞ্জার গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে আটক করেন। কাঠ বোঝাই লরি তিনটির কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযান নিয়ে মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার পাল বলেছেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর আসে তিনটি লরিতে করে কাঠ পাচার করা হচ্ছে। এর পর ধূপগুড়ি থানার আইসিকে ফোন করা হয়। তিনি ফোন না তোলায় ট্রাফিক ওসিকে ফোন করি। তার পর পিছু নিয়ে লরি তিনটিকে আটকানো হয়েছে। কোথা থেকে এত কাঠ কোথায় যাচ্ছে তার কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’