অপেক্ষা: এই সেই খাঁচা। নিজস্ব চিত্র
চিতাবাঘ নিয়ে আতঙ্ক অব্যাহত মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের চা বলয়ে।
সূত্রের খবর, তুলসীপাড়া চা বাগানের যে এলাকায় মঙ্গলবার এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, বুধবার সন্ধ্যার পর সেখানে ফের একটি চিতাবাঘ দেখা যায়। যা নিয়ে ফের এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। তবে বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, তুলসীপাড়া চা বাগান-সহ আশপাশের চা বাগানগুলিতে এ দিন পাঁচটি খাঁচা পাতা হয়েছে। তুলসীপাড়া চা বাগানে মোতায়েন রয়েছে বন দফতরের ট্র্যাঙ্কুলাইজ টিম।
গত বছর অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাদারিহাট-বীরপাড়া চা বলয়ে চিতাবাঘের হানায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হন আরও কয়েকজন। যা নিয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। ছড়ায় ক্ষোভও। ক্ষুব্ধ জনতা দু’টি চিতাবাঘকে বিষ মেশানো খাবার খাইয়ে মেরে ফেলে বলেও অভিযোগ। তবে পরপর ঘটনাগুলি হওয়ার পর বন দফতরের কর্তারা বিভিন্ন জায়গায় খাঁচা পেতে একের পর এক চিতাবাঘকে বন্দি করেন। পরিস্থিতিও বদলে যায়।
কিন্তু মঙ্গলবার বেলার দিকে গ্যারগেন্দা চা বাগানের বাসিন্দা এক কিশোরীর গলায় কামড় দিয়ে তাকে ঝোপে টেনে নিয়ে যায় একটি চিতাবাঘ। পরে তুলসীপাড়া চা বাগানের ৪ নম্বর সেকশন থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। বন দফতর সূত্রের খবর, এরপর এ দিন তুলসীপাড়া চা বাগানের ৪ নম্বর সেকশন-সহ আশপাশের চা বাগানগুলিতে পাঁচটি খাঁচা পাতা হয়। এরই মধ্যে এ দিন সন্ধ্যার পর এলাকায় তুলসিপাড়া চা বাগানের ৪ নম্বর সেকশনে একটি চিতাবাঘকে দেখতে পেয়ে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। যদিও বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ এলাকায় ট্র্যাঙ্কুলাইজ টিম তৈরি রয়েছে।
মঙ্গলবার চিতাবাঘের হানায় কিশোরীর মৃত্যুর পর এলাকার বিভিন্ন চা বাগানে ঝোপঝাড় নিয়ে সরব হয়েছেন বন দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে অনেকেই। বুধবারও বিভিন্ন মহল থেকে একই দাবি ওঠে। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গণেশ মাহালি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। একশো দিনের কাজের মাধ্যমে বা অন্য কোনও ভাবে চা বাগানের ঝাপঝাড় পরিষ্কার করা যায় কিনা, সে বিষয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। তবে বারবার যেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, বন দফতরের আধিকারিকদেরও বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।’’