পাহাড়ে চাঁদনি রাতে চা পাতা তোলা। ফাইল চিত্র
এপ্রিলে জি২০ সামিটে আসা বিদেশি প্রতিনিধিদের চাঁদের আলোয় চা পাতা তোলার পদ্ধতি দেখানোর পরিকল্পনা মোটামুটি চূড়ান্ত। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শনিবার ও রবিবার কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের একটি দল দার্জিলিং জেলা ঘুরে গিয়েছে৷ অনুষ্ঠান সূচি পর্যালোচনা, এলাকা ঘুরে দেখার পরে দলটি প্রশাসন, পর্যটন দফতর-সহ সামিটের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
শনিবার দলটি দার্জিলিঙে ছিল। রবিবার শিলিগুড়ি হয়ে দিল্লি ফিরেছে। এ দিন যাওয়ার আগেও কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছে। সেখানে অন্তত ২০০ বিদেশি প্রতিনিধিকে চাঁদনি রাতে চা পাতা তোলা এবং টয় ট্রেনে চাপিয়ে পাহাড়ি আঁকাবাকা পথ দেখানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ মাসের শেষে আরেক দফায় দিল্লি থেকে প্রতিনিধিরা আসার পরে সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘পর্যটন মন্ত্রকের একটি দল এসেছিল। জি২০ অনুষ্ঠান সূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শহর মিলিয়ে জি২০ পর্যটন সামিট হবে। আগামী ১ থেকে ৩ এপ্রিল এই আয়োজন। আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের শেষে এই সামিট হওয়ার কথা ছিল। তখন ৬ এপ্রিল পূর্ণিমা বলে চাঁদের আলোয় চা পাতার তোলা বিদেশি প্রতিনিধিদের দেখানো হবে বলে ঠিক হয়। পরে দিন এগিয়ে আসায় পূর্ণিমা না পেলেও চাঁদের আলোয় অনুষ্ঠানটি করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে একটি চা বাগানে রাতে চা পাতা তোলা হয়েছে। বিদেশিদের কাছে এর আকর্ষণ বরাবর বেশি। তাই কার্শিয়াঙের মকাইবাড়ি চা বাগানকে এর জন্য বাছাই করা হয়েছে।
বহু বছর ধরেই মকাইবাড়ি চা বাগানে পূর্ণিমার রাতে চা পাতা তোলার রীতি রয়েছে মহিলা শ্রমিকদের দিয়ে। সেই চা পাতা বিদেশে বহু দামে বিক্রি হয়। আপাতত ঠিক হয়েছে, ১ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের অতিথি, সরকারি আধিকারিক মিলিয়ে পাঁচশোরও বেশি প্রতিনিধি শিলিগুড়ি পৌঁছে সুকনা লাগোনা নিউ চামটা চা বাগানের চা পর্যটন রিসর্টে যাবেন। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে, খাবার খেয়ে কার্শিয়াঙের মকাইবাড়ি যাবেন। রাতে সেখানকার আরেকটি চা পর্যটন রিসর্টে থাকবেন। সেই সময়ই রাতে পাতার তোলার অনুষ্ঠান করার কথা ভাবা হয়েছে।
স্থির হয়েছে, পরের দিন, শিলিগুড়িতে গ্রামীণ পর্যটন, ডিজিটাল পর্যটন, এমএসএমই সেক্টর হিসাবে পর্যটন, অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হবে। তার পরে ৩ এপ্রিল টয় ট্রেনে সফর এবং দার্জিলিং রাজভবনে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। প্রতিনিধিরা ৩ এপ্রিল বিকেল থেকেই ধাপে ধাপে কলকাতা, দিল্লি হয়ে ফিরে যাওয়া শুরু করবেন। জেলা প্রশাসনের এক অফিসার জানান, ১ থেকে ৩ এপ্রিল পর পর অনুষ্ঠানগুলি সাজানো হয়েছে। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে সব চূড়ান্ত হবে। তাতে কিছু অদল-বদলও হতে পারে।