শীত থেকে রেহাই পেতে। জলপাইগুড়ির রাস্তায়। ছবি: সন্দীপ পাল
রাতের দিকে এবং ভোরে তাপমাত্রা ব্যাপক ভাবে নামতে শুরু করল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। বৃহস্পতিবার থেকে পাহাড় এবং পাদদেশের কয়েকটি এলাকায় ঝঞ্ঝার প্রভাব কিছুটা কেটেছে ঠিকই। কিন্তু তার আগে, উত্তর-পশ্চিমভারতের শৈত্যপ্রবাহের ঢেউ এসে পড়েছে সমতলের কয়েকটি জেলায়। তার প্রভাবে বিস্তীর্ণ কুয়াশার আস্তরণ তৈরি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। আগামী কয়েক দিন সমতলের জেলাগুলি মাঝারি থেকে ভারী কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকবে বলেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।
দার্জিলিঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। দার্জিলিং এবং সিকিমের উঁচু এলাকায় তুষারপাতে কোনও বিরাম নেই বলেই খবর। শীতের দাপট উত্তরবঙ্গের অন্য কয়েকটি জেলাতেও। জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়েছে। বাদ নেই গৌড়বঙ্গের বাকি দুই জেলাও। কোনও কোনও জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা রাতে তারও নীচে নেমে যাচ্ছে। সাত-আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো অনুভূতি তৈরি হচ্ছে ভোরে এবং সন্ধের পরে।
আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, শৈত্যপ্রবাহের পরোক্ষ ঢেউয়ে ভর করে কনকনে বাতাস এবং কুয়াশা চলবে উত্তরবঙ্গের ছয় জেলায়। সিকিমে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘শৈত্যপ্রবাহের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। তার সঙ্গে কুয়াশার বৃত্তও তৈরি হয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে। এর প্রভাব আগামী আরও অন্তত চব্বিশ ঘণ্টা থাকতে পারে।’’
পাহাড় এবং পাদদেশের জেলাগুলিতে ঝঞ্ঝার প্রভাব কিছুটা কাটায় মেঘমুক্ত আকাশ বেরিয়ে পড়েছে। তাতে রাতের তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলেই দাবি আধিকারিকদের। সমতলের বাকি জেলাগুলি ছাড়াও, গৌড়বঙ্গে সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে প্রচণ্ড ঠান্ডা, কুয়াশা আর তার সঙ্গে ঝিরঝিরে বাতাসে জবুথবু অবস্থা হচ্ছে জনতার একটা বড় অংশের। এই পরিস্থিতি আরও এক দিন চলতে পারে। আধিকারিকেরা জানান, কুয়াশা কেটে গিয়ে বেলার দিকে রোদ উঠলে, দিনের তাপমাত্রা হঠাৎ করে কিছুটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে জেলাগুলিতে। তবে রাতের তাপমাত্রা কম থাকবে বলেই জানান তাঁরা।