বানভাসি: আত্রেয়ী নদীর জল কমতেই প্রায় ১৫-২০টি বাড়ি ধসে পড়ল বালুরঘাটের একে গোপালন কলোনি এলাকায়। ছবি: অমিত মোহান্ত
শনিবার সকালে শোওয়ার ঘর থেকে বেরিয়ে শৌচাগারের দিকে চোখ যেতেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে ওঠে রুমা দাসের। বালুরঘাট শহরের একে গোপালন কলোনির ওই গৃহবধূ দেখেন সরকারের গড়ে দেওয়া তাঁদের পাকা শৌচাগার ভেঙে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে কষ্টে সংসার চালানো রুমারই শুধু নয়, পেশায় হকার ওই এলাকার নৃপেনচন্দ্র দাস, দিনমজুর পরেশ সরকারের ঘরও ভেঙে গিয়েছে। অনেকের টিনের ঘরের খুঁটি ভেঙে চালা হেলে পড়েছে।
ওই এলাকা থেকে বন্যার জল নামতেই এ দিন সকাল থেকে কলোনির অন্তত ১০টি পরিবারের ঘর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। ৩০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে আত্রেয়ীর জল বেড়ে প্লাবিত একে গোপালন কলোনির বন্যাদুর্গতরা ত্রাণ শিবিরের আশ্রয় থেকে বাড়ি ফিরতেই ফের নতুন করে গৃহহীন হলেন। ওই কলোনির ধার ঘেঁষে বয়ে চলা আত্রেয়ী খাঁড়িই ওই বিপদ ডেকে এনেছে বলে দুর্গতরা দাবি করেন। এ দিন এলাকায় খাঁড়ি বরাবর বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের ব্যবস্থা করতে পুর কর্তৃপক্ষকে আর্জি জানান তাঁরা।
এ দিন এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বাঁধ দিয়ে কলোনিকে সুরক্ষিত করার ব্যবস্থার পাশাপাশি ঘরহারাদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জেনে বালুরঘাটের পুরপ্রশাসক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি আগেই সরজমিনে দেখে জেলাশাসকের মাধ্যমে সেচদফতরকে বাঁধ তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্গতদের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয়দান ও ত্রিপল বিলি করতে বলা হয়েছে পুরকর্তৃপক্ষকে।
সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস জানান, একে গোপালন কলোনি এলাকায় আত্রেয়ীর খাঁড়ি বরাবর বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।