জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যে ঢুকেছে জল ছবি: টুইটার থেকে।
প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। বুধবার সকালে নতুন করে দার্জিলিং জেলার ধোতরে, মানেভঞ্জন, রিমবিক, গোক, বিজনবাড়ি এলাকা থেকে ধসের খবর এসেছে। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। জলে ডুবেছে জলপাইগুড়ির বহু এলাকা। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। বুধবারও জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তার জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। বাধ্য হয়ে তিস্তা জলাধার থেকে দফায় দফায় জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। প্লাবিত জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। বহু জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকেছে।
তিস্তার জলে জলপাইগুড়ির সারদাপল্লি, সুকান্তনগর, মৌয়ামারি, চাঁপাডাঙা, নন্দনপুর, বোয়ালমারি, পাতকাটা প্রভৃতি এলাকা প্লাবিত। এই সব এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ময়নাগুড়ির দোমহনি ১-এর বাসুসুবা গ্রাম প্লাবিত। মঙ্গলবার রাত থেকেই জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু ও পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তাঁরা। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। বালির বস্তা ফেলে নদীবাঁধ রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। কালিম্পং এবং গ্যাংটকগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কোনও কোনও জায়গা তিস্তার জলে ভেসে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের এলাকা ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন আশঙ্কা করছে, এ ভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে আরও অনেক জায়গায় ধস নামতে পারে। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক, পাঙ্খাবাড়ি এবং রোহিণী রোড খোলা থাকলেও একাধিক জায়গায় ছোট ছোট ধস রয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে সড়ক পরিবহণে।