প্রতীকী ছবি
লকডাউন শুরুর পরে এই প্রথম দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে আজ, সোমবার থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল বাগডোগরা বিমানবন্দরও। কিন্তু গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাগডোগরা বিমানবন্দর চালু হোক ২৮ মে, আর কলকাতা বিমানবন্দর চালু হোক ৩০মে। রবিবার সকাল থেকে কোনও নির্দেশিকা না আসায় অনিশ্চয়তায় কাটছিল বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের। শেষে এ দিন রাত ৮টা নাগাদ সরকারিভাবে দিল্লি এবং কলকাতা থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্য সরকারের অনুরোধ মেনে ২৮মে থেকে বাগডোগরায় চালু হবে বিমান চলাচল। বিমানবন্দর অধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেন, ‘‘আমরা সব রকমভাবে প্রস্তুত ছিলান। পরে আমাদের ২৮ মে থেকে বিমানবন্দর চালু করার জন্য জানানো হয়েছে।’’
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই বা চেন্নাইয়ের বিমানে টিকিট যারা কেটেছিলেন, তাঁদের আজ, সোমবার আর যাওয়া হচ্ছে না। আরও তিনদিন অপেক্ষা করতে হবে। যারা প্রথম দিনের টিকিট কেটেছিলেন, সবার টিকিটের টাকা বিমান সংস্থাগুলি ফেরত না দিলে সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টে আটকে পড়ল। অনেকেই বলছেন, ২৫ মে’র বদলে ২৮মে! তিনদিনে কী খুব একটা বদল হবে পরিস্থিতির! গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রক এবং ডিজিসিএ সরকারিভাবে ২৫ মে’র দিন ঘোষণা করেছিল। তখনই রাজ্য সরকার নতুন দিনের কথা বললে অনেকের হয়ত ভোগান্তি কম হতো বলেও দাবি উঠেছে।
২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। এর মাঝে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের বিমান এবং সামরিক বিমান ওঠানামা করেছে বাগডোগরা থেকে। গত দু’সপ্তাহ ধরে বিমানবন্দরের অন্দরে বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। টার্মিলানের অন্দরে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নানা ব্যবস্থা চালু হয়। এ ছাড়া যাত্রী, বিমান কর্মী বা বিমানবন্দরের কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ শুরু করার জন্য নানা ধরনের স্লাইড, শেড বা ডিসটেন্ট কাটারের ব্যবহার করা হবে বলে ঠিক হয়। তেমনিই, যাত্রীদের দফায় দফায় স্যানিটাইজ়েশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আলাদা মেডিক্যাল টিম তৈরি হয়। এ দিন সব কিছু চূড়ান্ত করা ছিল। ঠিক হয়, কলকাতা থেকে সাত সকালের বিমানটি দিয়েই দু’মাস পর বাগডোগরার বিমানবন্দর চালু হবে। তার পরে আগামী ৩০ জুন অবধি ছ’টি বিমান সংস্থার ১৫টি বিমান বাগডোগরা যাতায়াত করবে।
বিমানবন্দরের কর্মীদের পাশাপাশি বাইরের পার্কিং লট, গাড়ি চালকদের নিয়ে রবিবার বিকালে বিমানবন্দরে বৈঠক হয়েছে। সেখানে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অফিসার, পুলিশ, পরিবহণ দফতর, প্রশাসন এবং পর্যটন সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের কর্তারা উপস্থিতি ছিলেন। সেখানে গেটে চালকদের থার্মাল গান দিয়ে স্ক্রিনিং করা, পার্কিংয়ের জায়গা স্যানিটাইজ় করে রাখা, সামাজিক দূরত্ব মানা নিয়ে আলোচনা হয়। মাস্ক না পরলে এবং যেখানে সেখানে থুতু ফেললে জরিমানা বা ধরপাকড় করা নিয়েও কথা হয়।