প্রতীকী ছবি।
কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী। আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতায় একটি বৈঠক রয়েছে। রবিবার রাতেই বাগডোগরা থেকে কলকাতার বিমানের টিকিট কাটার চেষ্টা শুরু করেন। সাধারণত চার-সাড়ে চার হাজার টাকা দাম থাকে যে টিকিটের সেটা বিজয়গোপাল কেটেছেন প্রায় ১০ হাজার টাকায়। বণিকসভা সিআইআই নর্থবেঙ্গল জ়োনের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জিৎ সাহা। ঢাকা সফর শেষ করে দু’দিন আগে কলকাতা ফিরেছিলেন। পদাতিক এক্সপ্রেস বাতিল হয়ে যাওয়ায় প্রথমে কলকাতায় থেকে যাবেন ভেবেছিলেন। শেষ অবধি সোমবার ১৫ হাজার টাকায় টিকিট কেটে বাগডোগরায় ফিরেছেন।
বিজয়গোপালের কথায়, ‘‘ট্রেন বাসের সমস্যা হলেই দেখছি বিমান ভাড়া আকাশ ছোঁয়া। কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এতো দিনেদুপুরে লুটের সামিল।’’ সঞ্জিৎ বলেন, ‘‘আমরা পারছি বলে কেটেছি। কিন্তু চিকিৎসা, চাকরি বা কোনও কাজে অনেকের যাতায়াত আরও জরুরি। তাঁদের সবাই তো এত ভাড়ায় টিকিট কাটতে পারেন না। কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত।’’
গত রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতেই ঘণ্টায় ঘণ্টায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বিমানের ভাড়া। তা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষও দেখা দিয়েছে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু-সহ দেশের নানা প্রান্তে রোজ বাগডোগরা থেকে বিমান যাতায়াত করে। নিয়মিত যাত্রীদের বক্তব্য, কখনও বন্যার জেরে রেল বা সড়ক পরিবহণে সমস্যা হলেই বিমানের টিকিটের দাম বাড়ে। উত্তর দিনাজপুরের তেলতা সেতুর মেরামতির সময় তো কলকাতার মত ৪০ মিনিটের বিমান যাত্রার ভাড়া প্রায় ২৫ হাজার টাকা ছুঁয়েছিল।
সোমবার বাগডোগরা থেকে কলকাতার ভাড়া ছিল ১৫-২২ হাজার টাকার মধ্যে। সাধারণত যা আড়াই হাজার থেকে ৫ হাজারে থাকে। এ দিন দুপুরে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের তরফে দিল্লিতে ডিজিসিএ-র ডাইরেক্টর জেনারেল, বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তাকে বিষয়টি জানিয়ে ইমেল করে অবিলম্বে ভাড়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বলা হয়েছে।
বিমানবন্দরের এএআই-র অফিসার এবং বিমান সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রেলের মত বিমানের টিকিটেও ‘ডাইনামিক ফেয়ার’ ব্যবস্থা রয়েছে। চাহিদা বাড়লেই টিকিটের দাম বাড়তে থাকে।