সান্দাকফুতে মরসুমের প্রথম তুষারপাত বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।
মরসুমের প্রথম তুষারপাত দার্জিলিঙে। দুপুর থেকে বরফে সাদা হয়ে গিয়েছে সান্দাকফু। শীতের সাজে সেজে উঠেছে পাহাড়ের প্রকৃতি। সাধারণত ডিসেম্বরের আগে দার্জিলিঙের কোথাও বরফের দেখা মেলে না। এই সময়ে যাঁরা পাহাড়ে ঘুরতে যান, তাঁরা বরফের আশা খুব একটা করেনও না। ফলে বৃহস্পতিবারের সান্দাকফু পর্যটকদের কাছে অপ্রত্যাশিত আনন্দ বয়ে এনেছে।
অক্টোবর মাসের শেষের দিকেই সিকিমে তুষারপাত হয়েছে। কিন্তু দার্জিলিঙে ডিসেম্বরের আগে বরফ আশা করেননি সেখানকার বাসিন্দারাও। গত বছর দার্জিলিঙে মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। এ বার ২১ নভেম্বরেই তুষারে মুখ ঢাকল সান্দাকফু। সেখানকার পর্যটকেরা বৃহস্পতিবার দুপুরে বরফের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। তুষারপাত চলাকালীন রাস্তায় বেরিয়ে বরফের উপরেই হাঁটাচলা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
মরসুমের এত আগে প্রথম তুষারপাত হওয়ায় আগামী দিনগুলির জন্য আশায় বুক বেঁধেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। শীত আরও জাঁকিয়ে বসলে আরও বেশি তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হবে সান্দাকফুতে, মনে করছেন অনেকে। ফলে তাঁরা ডিসেম্বরের শীতের দিকে তাকিয়ে আছেন। নভেম্বর থেকেই সান্দাকফুতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে পারে। দার্জিলিঙে তুষারপাতের কথা শুনে আরও বেশি করে পর্যটকেরা সেখানে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দার্জিলিঙে তুষারপাত হলেও সমতলে এখনও সে ভাবে শীতের দেখা মেলেনি। হালকা ঠান্ডার আমেজ অনুভূত হচ্ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছে। তবে আগামী কয়েক দিন নতুন করে পারদপতনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিঙে গত সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছিল। এ বার সান্দাকফুতে তুষারপাত হল। যদিও দার্জিলিঙের অন্যত্র এখনও তুষারপাত হয়নি।