সেদিন ডাকাতির সেই ছবি। —ফাইল চিত্র।
মালদেহ চাঁচলের সেই সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় ১২ দিনের মাথায় সাফল্য পেল জেলা পুলিশ। ডাকাতিতে জড়িত পাঁচ জনের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হল শুক্রবার। ধৃতের নাম দীপককুমার দাস। পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ বছরের ওই অভিযুক্তকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনের সন্ধ্যায় চাঁচলে একটি নাম করা গয়নার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় দুটো বাইক। মোট পাঁচ জন ডাকাত বাইক থেকে নেমে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গয়নার দোকানে ঢোকে। অভিযোগ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই গয়নার দোকানের কয়েক জন কর্মীকে মারধর করে তারা। কারও কারও মাথায় আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে আঘাত করে ডাকাতেরা। নির্দেশের সুরে ওই পাঁচ জন দোকানের কর্মীদের বলে সব গয়না বার করতে। ওই ডাকাতির দৃশ্য পথচারীরাও দেখেছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ এগোতে পারেননি। তার মধ্যেই কয়েক জন ‘ধর-ধর’ আওয়াজ তুলতেই গুলি চলে বলে অভিযোগ। অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যে দুটো ব্যাগে লুটের মাল ভরে বেরিয়ে যায় ডাকাতদল।
অন্য দিকে, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশের গাড়ি আসতেই তাদের ঘিরে ধরে জনতা। চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। কেন থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অবশেষে সেই ডাকাতির ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি হল। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সহযোগিতায় সাহেবগঞ্জ জেলার জিরুয়াবাড়ি থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে। প্রাথমিক জেরায় ধৃত যুবক ডাকাতিতে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকারও করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধের কাজকর্ম করত ওই যুবক। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়।