ফাইল চিত্র।
শনিবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাজি ফাটার শব্দ পাওয়া গিয়েছে। যত রাত বেড়েছে, সেই আওয়াজও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বলে অভিযোগ শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির দাবি, অন্যবারের তুলনায় এ বার বাজির দাপট অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু পুলিশ শহরে বাজি ঢোকা আটকাতে পারল না কেন প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি পুলিশকর্তারা। রবিবারও বেশ কিছু আবাসনের দিকে নজর রাখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার রাতে শিলিগুড়ি থানা এলাকায় তিন যুবক বাজি ফাটাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়, প্রধাননগর থানা এলাকাতেও দুই নাবালককে বাজি ফাটানোর অভিযোগে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছাড়া হয়।
গত কয়েকদিন ধরেই শিলিগুড়ি শহরে গোপনে বাজি বিক্রি হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। বাস ও ট্রেনেও বাজি শহরে ঢুকছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শহরবাসীর একাংশ বলছেন, শনিবার রাত থেকেই বোঝা গিয়েছে যে অভিযোগের ভিত্তি ছিল। আতশবাজির সঙ্গে শব্দবাজিও ঢুকেছে শহরে। পুলিশেরই একটি অংশের দাবি, ঘোষপুকুরের হয়ে কিসানগঞ্জের বেশ কিছু শব্দবাজি শহরে ঢুকেছে।
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফের তরফে দাবি করা হয়, আরও বেশি নজরদারি থাকলে হয়তো বাজি পুরোপুরি আটকানো সম্ভব হতো। সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘পুলিশ এবং সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় অন্যবারের তুলনায় বাজি অনেকটাই কম ফেটেছে। কিন্তু নজরদারি আরও বাড়িয়ে পুরোপুরি বাজিশূন্য করতে হবে শহরকে।’’ শিলিগুড়ির ডিসি (পূর্ব) জয় টুডু কিছু বলতে চাননি। হোয়াটসঅ্যাপ করে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সূত্রের দাবি, বাজি ধরতে শনিবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ। শালবাড়ির কাছে বাজি ফাটার খবর পেয়ে টহলদারির জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স যায়। আটক হয় দুই কিশোর। খালপাড়া এবং এসএফ রোড থেকে বাজি সমেত দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার সন্ধের পর ফের খালপাড়া, স্টেশন ফিডার রোড, মিলনপল্লি, পঞ্জাবিপাড়া, আশ্রমপাড়া, হাকিম পাড়া, সুভাষপল্লির মত এলাকাগুলি থেকে শব্দবাজি ফাটার আওয়াজ মেলে। তেমনি প্রধানগর, চম্পাসারি, দুই মাইল, শালুগাড়া, রবীন্দ্রনগর এবং ঘোঘোমালির মত এলাকাতেও বাজি ফাটার আওয়াজ এসেছে। এ ছাড়া ভারতনগর, দেশবন্ধুপাড়া, লেকটাউন, এনজেপি, জংশন এলাকাতেও বাজি পোড়ানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।