মালদহ শহর থেকে উদ্ধার হওয়া বাজি। নিজস্ব চিত্র।
করোনার কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে এবার দীপাবলিতে বাজি বিক্রি বন্ধ। তা সত্বেও বিপুল পরিমাণ বাজি মুজতের অভিযোগ উঠছে মালদহ শহরের কয়েকটি দোকানে। অন্য শহরের মতো মালদহের কিছু এলাকা বাজি বিক্রির জন্য বিখ্যাত। সেই সব এলাকায় রীতিমতো পসরা সাজিয়ে আতশবাজি বিক্রি চলে ফি বছর। কিন্তু এ বার সে সব বন্ধ। তবে অভিযোগ, লুকিয়ে চুরিয়ে বাজি বিক্রি চলছেই।
আতশবাজি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজি বিক্রি বন্ধের এই সিদ্ধান্ত যদি দুর্গাপুজার আগেই জানিয়ে দেওয়া হত, তবে তাঁদের বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হত না। অনেক আতশবাজি বিক্রেতা বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে দাবি তাঁদের। এক ব্যবসায়ীর বক্তব্য, “লকাডাউনে যে আর্থিক সমস্যা পড়েছিলেন দীপাবলিতে বাজি বিক্রি করে কিছুটা লাভের টাকা ঘরে তুলবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু এখন তাঁদের লাভ তো দূরের কথা উল্টে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।”
খাতায় কলমে বাজি বিক্রি বন্ধ হলেও মালহদ শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, যে এলাকায় আতশবাজি গোডাউনে মজুত করা হয়েছিল সেখান থেকে কৌশলে বিক্রি চলছে। রাতের অন্ধকারে আতশবাজি পাচার হয়ে যাচ্ছে। পুলিশও একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বাজি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে স্থানীয়দের দাবি আরও কড়া নজরদারি চালানোর দরকার।