কালীপুজোর ‘খামতি’ পূরণ ছটে

ভোররাতেও শব্দবাজির বিকট তাণ্ডব

চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস দাবি করেছেন, সব ঘাটেই পুলিশি নজরদারি ছিল। ফলে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটেনি বললেই চলে। কেউ লুকিয়ে বা গোপনে কোথাও ফাটিয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই। তবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি বন্ধ বা তার ব্যবহার রুখতে এর পরেও পুলিশি অভিযান, নজরদারি চলবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

চাঁচল শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:২৭
Share:

আচ্ছন্ন: ছটপুজোর বাজির দূষণ, বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরেছে। নিজস্ব চিত্র

নিষিদ্ধ শব্দবাজি রোখার পরীক্ষায় কালীপুজোয় কার্যত উতরে গিয়েছিল পুলিশ। যেটুকু শব্দ কানে পৌঁছেছিল তা নেহাতই মামুলি। পুলিশের নজরদারি এবং বাজি প্রেমিকদের মনে কিছুটা হলেও ভয়—দু’য়ের মিশেলে কালীপুজোয় শব্দবাজির দৌরাত্ম্য রোখা সম্ভব হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। কিন্তু ছটপুজোয় সেই ‘খামতি’ পুষিয়ে নিয়ে মালদহের চাঁচল মহকুমা জুড়ে দেদার শব্দবাজি ফেটেছে বলে অভিযোগ উঠল। চাঁচলে চকলেট বোমার খোলও পুলিশ উদ্ধার করেছে। শনিবার ছটপুজোর রাতকে ছাপিয়ে গিয়েছে রবিবারের ভোর, জানাচ্ছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। যদিও শব্দবাজিকে ঘিরে বাসিন্দাদের অভিযোগ পুরোপুরি মানতে চায়নি পুলিশ। পুলিশের দাবি, রকেট বাজিতে নিষেধাজ্ঞা নেই। ওই বাজি উপরে উঠে সামান্য শব্দ করে ফেটে যায়। ওই বাজিই বেশি ফাটানোর জন্য শব্দবাজি ফাটছে বলে মনে হচ্ছে।

Advertisement

চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস দাবি করেছেন, সব ঘাটেই পুলিশি নজরদারি ছিল। ফলে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটেনি বললেই চলে। কেউ লুকিয়ে বা গোপনে কোথাও ফাটিয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই। তবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি বন্ধ বা তার ব্যবহার রুখতে এর পরেও পুলিশি অভিযান, নজরদারি চলবে।

নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি ও তার ব্যবহার রুখতে কালীপুজোর আগে লাগাতার প্রচার চালিয়েছিল পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুরে বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি উদ্ধার সহ এক জন গ্রেফতারও হয়। ফলে কালীপুজোয় মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় শব্দবাজি শোনা যায়নি বললেই চলে। কিন্তু ছটে সেই ছবিটা পাল্টে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

চাঁচল সুইমিং পুল, হাসপাতাল পাড়া ছাড়াও হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়ার একাধিক এলাকায় ছটপুজোর আয়োজন করা হয়। স্থানীয় পুকুর ছাড়াও মহানন্দা, কালিন্দ্রী, ফুলহার নদীরও একাধিক এলাকায় ছটের আয়োজন হয়েছিল। শনিবার বেশি রাতে প্রায় প্রত্যেকটি এলাকাতেই নিষিদ্ধ চকলেট বোমা, লঙ্কা পটকার শব্দ শোনা গিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। শনিবার রাতের পরে রবিবার ভোর রাতে আরও বেশি করে শব্দবাজির তাণ্ডব চলে বলে জানিয়েছেন চাঁচল শহরের একাধিক বাসিন্দা। সুইমিং পুল লাগোয়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ভোর রাতে আচমকা শব্দবাজির আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। বিরামহীন ভাবে শব্দবাজি ফাটতে থাকে।’’ একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর, তুলসিহাটা, ভালুকা, বালুপুর, রতুয়ার আড়াইডাঙার একাধিক বাসিন্দা।

মহকুমা পুলিশের এক কর্তার অবশ্য দাবি, আমি নিজে একটি ঘাটে ছিলাম। সেখানে দু’টো চকলেট বোমার খোল পাই। এক বালক সেটি ফাটিয়েছিল বলে সন্দেহ হয়। কিন্তু তাকে তো আর গ্রেফতার করা যায় না। শুধু সতর্ক করে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement