Jalpaiguri

চা বাগানের ধারালো ব্লেড-তার প্রাণ কাড়ছে হাতি-বাইসনের, বনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে খোলা হচ্ছে বেড়া

বন্য প্রাণীরা ঢুকে যাতে ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য ডুয়ার্সের অধিকাংশ চা বাগানে ধারালো ব্লেডের মতো অংশ যুক্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া থাকে। এর ফলে বন্যপ্রাণীরা ঢুকতে পারে না। ঢুকতে গেলেও আহত হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ২০:৪৬
Share:

চা বাগানে কাঁটা তারের বেড়া। নিজস্ব চিত্র।

চা বাগানের ধারালো ব্লেড যুক্ত তারের বেড়া পেরিয়ে ঢুকতে গিয়ে মৃত্যু হচ্ছে হাতি, বাইসন বা চিতাবাঘের মতো প্রাণীর। তার উপর চা বাগানে ঢুকতে বাধা পেয়ে এই সব প্রাণী লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এমনকী আহত হয়েছেন মানুষও। এমন বেড়া মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বন দফতরের কর্তাদের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাগান মালিকদের তার খোলার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বন্য প্রাণীরা ঢুকে যাতে ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য ডুয়ার্সের অধিকাংশ চা বাগানে ধারালো ব্লেডের মতো অংশ যুক্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া থাকে। এর ফলে বন্যপ্রাণীরা ঢুকতে পারে না। ঢুকতে গেলেও আহত হচ্ছে। তাদের স্বাভাবিক যাতায়াতের পথ আটকে যাওয়ায় লোকালয়ে ঢুকে ঘরবাড়ি স্কুল সম্পত্তি নষ্ট করছে। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে।

জলপাইগুড়িতে সরকারি অনুষ্ঠানে এসে বিষয়টি নিয়ে একাধিবার উষ্মাপ্রকাশ করেছেন রাজীব। তিনি চা বাগান মালিকদের এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে এই কাঁটাতারের বেড়া খুলতে বলেছেন। এমনকী কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন রাজ্যের এবং উত্তরবঙ্গের মূখ্য বনপালদের।

Advertisement

কাঁটাতার খোলার বিষয়ে চা বাগান মালিক সংগঠন ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় বাগচী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। কাঁটাতারের বেড়া যে সব বাগানে লাগানো রয়েছে, সেগুলি খোলার কাজ শুরু হয়েছে। আমরা বনমন্ত্রীকে সেই ছবিও দেখিয়েছি। এর পরেও যদি কোথাও কাঁটাতারের বেড়া থেকে থাকে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব।”

সোমবার অননারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, “ডুয়ার্সের অধিকাংশ চা বাগানেই ধারালো কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া। এটা সত্যি যে, ধারালো ব্লেডে প্রতিদিন বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে। আমি বনমন্ত্রীকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকদের এই তার খোলার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement