জলপাইগুড়িতে মহিলা আইপিএস। প্রতীকী চিত্র।
সরকারি কোরক মামলার তদন্তে বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে জলপাইগুড়িতে পৌঁছলেন সিবিআইয়ের এক মহিলা আইপিএস অফিসার।
ডিআইজি পদমর্যাদার এই অফিসারই কোরক মামলার তদন্তে নেতৃত্ব দেবেন। প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি বিমানে এসে বাগডোগরায় নামবেন। যদিও শেষ মুহূর্তে সূচি বদলে তিনি এ দিন দুপুরেই জলপাইগুড়ি চলে আসেন। জলপাইগুড়ির ক্লাব রোডে পূর্ত দফতরের বাংলোয় সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে দলের বাকি অফিসার-কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, আপাতত স্থির হয়েছে আজ, শুক্রবার কবর খুঁড়ে নাবালকের দেহ তোলা হতে পারে। মৃতদেহের ফের ময়না-তদন্ত করাতে পারে সিবিআই।
গত সোমবার জলপাইগুড়িতে এসেছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। তার পর থেকে দফায় দফায় কখনও কোচবিহার থানা, কখনও জলপাইগুড়ি থানা এবং কখনও কোরক হোমের আধিকারিকদের কাছে নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন সিবিআইয়ের অফিসারেরা। নথি নেওয়া হয়েছে হোম বা শিশু সুরক্ষা বিষয় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছ থেকেও। বুধবার রাত ৮টা পর্যম্ত কোরক হোমের আধিকারিক-কর্মীদের ডেকে সংগ্রহ করা নথি মিলিয়ে দেখেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। কোনও জেরা করা হয়নি গত বুধবার। তবে নথিমিলিয়ে দেখার পরে, হোমের আধিকারিকেরা যখন ফিরে যাবেন তখন সিবিআই আধিকারিকেরা হাতে চকলেট দিয়ে বলেছেন, “আবার দেখা হবে। নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠাব, আসবেন কিন্তু!”
এ দিন বিকেলের দিকে ফের হোমে গিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। ঘণ্টাখানেক কোরক হোমে তারা ছিল। সূত্রের খবর, হোম থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছে সিবিআই। নাবালক যে ঘরে থাকত, সে ঘরটি ফের দেখেছে। হোমের কয়েক জন কর্মীর সঙ্গেও দেখা করেছে। তাঁদের সঙ্গে গল্পের ঢঙে আলাপচারিতা করেছে দলটি।
কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশে কোরক হোমে নাবালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার তদন্ত-ভার নিয়েছে সিবিআই। মাদক মামলায় বিচারাধীন এক কিশোর আবাসিকের ঝুলন্ত দেহ কোরক থেকে গত ১৫ ডিসেম্বর উদ্ধার হয়। সে মৃত্যু এবং মাদক মামলায় নাবালকের গ্রেফতার হওয়া নিয়ে সিবিআই-তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।