ফাইল চিত্র।
নামেই অনলাইন ভর্তি। আদপে অফলাইনেই ভর্তি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর তাতেই থেকে যাচ্ছে দুর্নীতির বীজ।
কেন এমন ভাবছেন তাঁরা?
কলেজের শিক্ষকদের কয়েকজনেরই বক্তব্য, এখন অনলাইনে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয়ে গেলেও, মার্কশিট পরীক্ষার সময় গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে। অনলাইনে কোনও ছাত্র ভর্তি হলে অনলাইনেই তাঁর মার্কশিট কপি জমা নেওয়া উচিত। তা না হলে পরবর্তীতে দুর্নীতি হবার সুযোগ থেকে যাচ্ছে। অনলাইনে আবেদন ও ভর্তির সময় মার্কশিটের কোনও কপি নেওয়া হচ্ছে না। আর সেখানেই বিস্তর ফাঁক রয়ে গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘‘যে কেউ নিজের প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে অনলাইনে ভর্তি হয়ে যেতে পারে। পরে কলেজে যখন মার্কশিট দেখানো হবে তখন সেখানে টাকা দিয়ে ব্যবস্থা করে নিতে পারেন অসাধু ছাত্রছাত্রীরা।’’ তাঁদের কথায়, ‘‘তাই নামেই অনলাইনে ভর্তি হচ্ছে। আসলে অনলাইনের নামে অফলাইনেই ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে।’’
সরাসরি এই আশঙ্কার কথা মানতে না চাইলেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অতনু রায় বলেন, ‘‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, ভর্তিতে যাতে কোনও দুর্নীতি না হয় তাই আমাদের ছাত্রনেতারা এই কাজ করবেন না। যদি কেউ দলে থেকে দলের ক্ষতি করতে চায় তারাই এই কাজ করতে পারে। তবে এই ভাবে যাতে ভর্তি হতে কেউ না পারে, তার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। পাশাপাশি, ভর্তিতে কেউ যাতে টাকা না দেয় তা নিয়েও আমরা জেলায় মাইক নিয়ে প্রচার করব।’’
অন্য দিকে, অনলাইনে মার্কশিট ভেরিফিকেশন করার ব্যবস্থা না থাকায় ভর্তি অনলাইনে হলেও ভেরিফিকেশন কলেজেই হচ্ছে। তবে যে সব শিক্ষক ভর্তির পরে মার্কশিট পরীক্ষার কাজ করবেন তাঁদের এই বিষয়ে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। সেখানে ভুয়ো প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে যাতে কেউ ভর্তি হতে না পারে তা কঠোর ভাবে দেখা হবে বলে কলেজগুলি আশ্বাস দিয়েছে। যদিও এই আশ্বাসে কতখানি কাজ হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামহল।
ভর্তি প্রক্রিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছভাবে করতে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষগুলি দাবি করেছে। প্রসঙ্গগত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট কলেজ ও বালুরঘাট মহিলা কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলার বাকি কলেজগুলিতে বৃহস্পতিবার থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।