—ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ট্রেনের বগি থেকে নাকি অদ্ভূত সব আওয়াজ ভেসে আসছে। কখনও বিকট চিৎকার, আবার কখনও গুমরানো কান্নার শব্দ! গোটা দোমহনিতেই এ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে এখন। গ্রাম পরিদর্শনে আসা বিডিও-কেও গ্রামবাসীদের একাংশ এ বিষয়ে জানিয়েছেন। দোহমনির আতঙ্ক দূর করতে প্রশাসনের তরফেও পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে যান ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী। ঠিক যে জায়গায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, সেই জায়গাও ঘুরে দেখে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেই সময় গ্রামবাসীদের একাংশ জানান, সন্ধ্যা নামার পর থেকেই গোটা গ্রামে গা ছমছমে পরিবেশ তৈরি হয়। আতঙ্ক কাটাতে নাকি গ্রামে পুজোআচ্চারও আয়োজন করা হয়েছে,
কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, অশরীরীদের ঘুরে বেড়ানোর ‘গুজব’ রটে গিয়ে আরও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাও গ্রামবাসীদের কথা শুনে আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করেন বিডিও।
শুভ্র বলেন, ‘‘এলাকায় সচেতনতা প্রচার করলাম। রাতেও এলাকায় থেকেছি । কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি মতো অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি বা শুনিনি আমরা। দুর্ঘটনার পর গ্রামবাসীরাই এগিয়ে এসে উদ্ধারকার্য চালিয়েছিলেন। ওই বীভৎস্য দৃশ্য তাঁরা এখনও ভুলতে পারেননি আসলে। সেই কারণেই হয়তো তাঁদের মধ্যে এই রকম ধারণা তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া আর কিছু নয়।”