ফাইল চিত্র।
মৃত উলেন রায়ের দেহ মান্তাদারিতে বাড়ির পাশেই সমাহিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করল তাঁর পরিবার।
যদিও উলেনের অন্ত্যেষ্টি কীভাবে হবে, কবে পরিবার দেহ ফেরত পাবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিজেপি নেতাদের দাবি, আদালতের রায়ের দিকে তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন। উচ্চতর আদালতেও যেতে পারে দল। কিন্তু এখন কীভাবে তাঁর দেহ পরিবার নেবে, দাহ করা হবে, না সমাহিত করা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানান দলের একাংশ। বিজেপির জলপাইগুডি জেলার সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘পরিবারের একটা দাবি রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা অবশ্য আমরা পরিবার এবং দলের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করব। এখনও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে শুনিনি।’’ যদিও বিজেপিরই একটি সূত্রের দাবি, মান্তাদারিতে মাটি খোঁডার মেশিন নিয়ে এসে মাটিও খোঁডা শুরু হয়েছে। তবে তা নিয়ে অবশ্য পরিবার কিছু বলেননি।
এদিকে, উলেনের শ্যালক হরকিশোর রায় বলেন, ‘‘উনি মৃত্যুর সময় রামনাম জপ করছিলেন বলে আমরা শুনেছি। তার পরেই পরিবারের সদস্যেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁকে দাহ না করে তাঁকে সমাহিত করে তার উপর একটি মন্দির তৈরি হোক। মন্দিরের পাশে উলেনের মূর্তি বসিয়ে পাশে একটি রামের মূর্তিও বসাব বলে ঠিক করেছি আমরা।’’ যদিও জলপাইগুড়ির সংসদ জয়ন্ত রায় অবশ্য দাবি করেন, সমাধি বা মন্দিরের কোনও সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানেন না। শেষপর্যন্ত কী হবে, তা নিয়ে এখনও সংশয়ে বিজেপি নেতারা।
উলেনের দেহ নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনীতি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছিল তৃণমূলের একটি অংশ। তারপর উলেনের মৃত্যু এবং ময়নাতদন্তকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর চলছেই। জলপাইগুডি তৃণমূল নেতাদের একটি অংশের দাবি, পরিবারের লোকজনের থেকেও উলেনের অন্তিম সংস্কারে বিজেপির নেতারাই বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন। দলের এক জেলা স্তরের নেতার কথায়, ‘‘মন্দির এবং রামের মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা তাঁদেরই বলে আমাদের মনে হয়। তবে পরিবার নিজের জায়গায় তা করতে চাইলে আমাদের কিছু বলার নেই।’’