পুরসভার মর্যাদা চায় ফালাকাটা, আর্জি নবান্নে

ফালাকাটার পুরসভা হওয়া নিয়ে অনেক দিন থেকেই নানা মহলে চর্চা চলছে। বাম আমলের শেষ দিকে ২০১০ সালে রাজ্যের তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য ফালাকাটা কমিউনিটি হলে ঘটা করে ফালাকাটাকে পুরসভা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

Advertisement

দেবব্রত ঘোষ 

ফালাকাটা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৩৩
Share:

নবান্ন। ফাইল চিত্র

নতুন বছরে রাজ্যের প্রায় কুড়িটি পুরসভায় যখন নির্বাচনের দামামা বাজার অপেক্ষা, তখন পুরসভার তকমা পেতে এখনও সেই চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছে নবান্নের দিকে তাকিয়ে ফালাকাটা।

Advertisement

ফালাকাটার পুরসভা হওয়া নিয়ে অনেক দিন থেকেই নানা মহলে চর্চা চলছে। বাম আমলের শেষ দিকে ২০১০ সালে রাজ্যের তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য ফালাকাটা কমিউনিটি হলে ঘটা করে ফালাকাটাকে পুরসভা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু রাজ্যে বাম সরকার ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত ফালাকাটা পুরসভা হয়নি। এরপর রাজ্যে পালা বদল ঘটে। সেই সঙ্গে ফালাকাটাও বামেদের পরিবর্তে তৃণমূলের গড় বলে পরিচিতি লাভ করে। ফালাকাটার বাসিন্দাদের কথায়, ক্ষমতায় আসার পরে বিগত কয়েক বছরে তৃণমূলের নেতারাও অনেকবার ফালাকাটাকে পুরসভা করা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ফালাকাটা এখনও গ্রাম পঞ্চায়েতই থেকে গিয়েছে। যা নিয়ে বিধানসভা উপ নির্বাচনের আগেও বাসিন্দাদের মনে ক্ষোভ অব্যাহত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ফালাকাটা এমন একটা জায়গায় অবস্থিত যেখান থেকে সহজেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। জলপাইগুড়ি কিংবা কোচবিহার জেলা এবং আসামের সঙ্গে ফালাকাটার অবাধ যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ফালাকাটার বুক চিড়ে চলে গিয়েছে। রয়েছে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। যদিও দূরপাল্লার ট্রেনের সুবিধা এখনও ফালাকাটাবাসী পাননি। তবু পরিবহণের কোনও অসুবিধা নেই। প্রয়াত বিধায়ক অনিল অধিকারীর হাত ধরে নানা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে এলাকায়। কিন্তু যা এখনও হয়নি, তা হল পুরসভা। এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে তা নিয়েই বাড়ছে ক্ষোভ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, যত দিন যাচ্ছে ততই ফালাকাটায় জনসংখ্যা বাড়ছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে নানা চাহিদা। যে চাহিদাগুলি একমাত্র পুরসভার হলেই পূরণ হওয়া সম্ভব। এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় যখন নির্বাচন কড়া নাড়ছে, তখন ফের একবার ফালাকাটাকে পুরসভা করার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সি

পিএমের আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় বলেন, ২০১০ সালে অশোক ভট্টাচার্য যখন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন, তখন রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বিল পাশ করে এলাকাকে পুরসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরই বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় তা আর বাস্তবায়িত করা যায়নি। তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি সন্তোষ বর্মণ বলেন, ‘‘বিধানসভায় ২০১৩সালেই ফালাকাটাকে পুরসভা করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেটা এখনও কার্যকর হয়নি। তবে দ্রুত যাতে সেই ঘোষণা কার্যকর হয়, সে ব্যাপারে আমরা দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে জানিয়েছি। উনি নির্দিষ্ট জায়গায় কথা বলবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement