প্রতীকী ছবি।
ফালাকাটায় উপনির্বাচনকে সামনে রেখে এ বার ‘দত্তক’ প্রথা চালু করতে চলেছে বিজেপি।
এই বিধানসভা এলাকায় ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত ১৩ জন জেলা নেতার হাতে ‘দত্তক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপির আলিপুরদুয়ার শীর্ষ নেতৃত্ব। এর অর্থ হল, কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত ‘দত্তক’ নেওয়া নেতার উপরেই
সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দলকে জেতানোর সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকবে। তবে এই দায়িত্বে সাফল্যের পুরস্কারও রাখছে দল। যে নেতা যত লিড দিতে পারবেন, সেই নিরিখে প্রথম তিনজনকে পুরস্কৃত করা হবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, ফালাকাটার উপনির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার জয়গাঁয় দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বাড়িতে প্রায় সাত ঘণ্টার প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। সেখানে ফালাকাটার বাসিন্দা জেলা নেতারা ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের পর ফালাকাটার কোন গ্রাম পঞ্চায়েতে দলের এখন কী অবস্থা, তা নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। সেইসঙ্গে এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দল কীভাবে ময়দানে ঝাঁপাবে, তার রূপরেখাও স্থির হয়। দত্তক ও পুরস্কারের পাশাপাশি, বিধানসভা এলাকার প্রতিটি বুথে মহিলা ও যুবদের নিয়ে সুরক্ষা বাহিনী তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। দলের খবর, উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ওই বিধানসভা এলাকার প্রতিটি বুথে জনসংযোগের জন্য ১০ জনের আলাদা আলাদা দল তৈরি হবে। সেইসঙ্গে যুব-মহিলাদের সামনে রেখে তৈরি হবে বুথ সুরক্ষা কমিটি। বুথের সুরক্ষা কীভাবে করা হবে সে বিষয়ে কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা নেতারা।
গঙ্গাপ্রসাদ শুক্রবার বলেন, “যিনি যে গ্রাম পঞ্চায়েতকে দত্তক নেবেন, তাঁর হাতেই সেই এলাকায় দলকে জেতানোর সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকবে। খুব দ্রুত নিজের নিজের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কাজ শুরু করবেন সংশ্লিষ্ট নেতারা। ভোটে লিড দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত দত্তক নেওয়া নেতাদের প্রথম তিনজনকে দল পুরস্কৃতও করবে।” এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বিজেপি নেতাদের পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ফলে উপনির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁরা যত চেষ্টাই করুন না কেন, মানুষের সমর্থন কখনও পাবেন না।”
গত বছর অক্টোবর মাসের শেষে ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারী প্রয়াত হন। ফলে আলিপুরদুয়ার জেলার এই বিধানসভা আসনটিতে উপনির্বাচন নিশ্চিত হয়ে পড়ে।