প্রতীকী ছবি।
ভিডিয়ো কলে লুকিয়ে বিপদ। তা দিয়ে ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতে সক্রিয় একটি চক্র। পর পর কয়েকটি অভিযোগ ‘সাইবার ক্রাইম’ বিভাগে জমা হওয়ায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বাসিন্দাদের সতর্ক করার কাজও শুরু করছে কোচবিহার জেলা পুলিশ। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই আপাতত সেই সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। পরে প্রয়োজনে মাইকিং, লিফলেটেও সতর্ক করা হবে। কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদার বলেন, “তদন্তে দেখা গিয়েছে, ভিন্ রাজ্য থেকে কল এসেছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।”
পুলিশ জেনেছে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাহায্যে ওই কাজ হচ্ছে। দষ্কৃতীরা ফোন নম্বর সংগ্রহ করছে। বিশেষত তাদের ‘টার্গেট’ রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে সমাজের প্রতিষ্ঠিতরা। সম্মানের ভয়ে যাঁদের থেকে দ্রুত টাকা হাতানো সম্ভব। অচেনা নম্বর থেকে রাতের দিকে ভিডিয়ো কল করা হচ্ছে নির্দিষ্ট নম্বরে। এক-দু’বার, কখনও তিন-চারবারও। কল ‘রিসিভ’ করে ভুল নম্বর বুঝে ওঠার মুহূর্তে ওই ভিডিয়ো সংগ্রহ করে নিচ্ছে তাঁরা।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, রাতে প্রত্যেকে থাকেন বাড়ির পোশাকেই। সেই সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। এর পরে ওই ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে ‘পর্ন’ ছবিতে। সেই ছবি দেখিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হচ্ছে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে। নম্বর দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, হরিয়ানা, পঞ্জাবের মতো জায়গা থেকে কল করা হচ্ছে। কারা এর পিছনে, এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জেনেছে, ইতিমধ্যে কোচবিহারের এক ব্যক্তিকে ওই ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই চক্র। টাকা না পেলে ছবি সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অনেকেই ভিডিয়ো কল বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেন। কিন্তু এমন ঘটনা যেখানে ঘটতে শুরু করেছে, তা হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না। অচেনা নম্বরের ভিডিয়ো কল এড়িয়ে যেতে হবে।”