Students

সিঁড়িতে বসেই চলল পরীক্ষা

প্রশ্নপত্র আপলোড করতে কর্তৃপক্ষের সময় লেগে যায় প্রায় ১৫ মিনিট। ইন্টারনেট নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় প্রত্যন্ত গ্রামের পরীক্ষার্থীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ ও ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০৬:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-আবহে স্নাতকোত্তরের অনলাইন পরীক্ষাতেও খলনায়ক ইন্টারনেট গোলযোগই। শুক্রবার স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষার প্রথম দিনই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্র পেলেন না গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পোর্টালে উত্তরপত্র আপলোড করতেও হিমশিম খেতে হয় পরীক্ষার্থীদের একাংশকে। বেশ কিছু পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র জমা দিতে ছুটে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও। যদিও প্রথম দিনের পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবেই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তরে মোট পরীক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় দু’হাজার। এ দিন পরীক্ষা দিয়েছেন ৬৮৪ জন। পরীক্ষা শেষের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তরপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে জমা দিয়েছেন ৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী। ছ’জন পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র হাতে নিয়ে ছুটে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আর বাকিরা বিভাগীয় প্রধানদের হোয়াটস অ্যাপ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-মেলের মাধ্যমে জমা দিয়েছেন উত্তরপত্র।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পোর্টালে প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে আপলোড হয়নি বলে দাবি পরীক্ষার্থীদের। তাঁদের দাবি, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র আপলোড করার কথা ছিল। তবে প্রশ্নপত্র আপলোড করতে কর্তৃপক্ষের সময় লেগে যায় প্রায় ১৫ মিনিট। ইন্টারনেট নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় প্রত্যন্ত গ্রামের পরীক্ষার্থীদের। হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজলক্ষ্মী সরকার বলেন, “উত্তরপত্র আপলোড করার জন্য ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। পিডিএফ করে উত্তরপত্র আপলোড করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেই সময় অধ্যাপকদের ফোন করে ই-মেল কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে উত্তরপত্র পাঠাতে হচ্ছে।”

Advertisement

এ দিকে, গাঁধীজয়ন্তীর ছুটির দিনে পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে অধ্যাপকদের একাংশ। অনলাইনে বাড়িতে বসেই পরীক্ষা হওয়ায় ছুটি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, “সুষ্ঠু ভাবেই পরীক্ষা হয়েছে। আশা করছি আগামী দিনের পরীক্ষাও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে।”

অন্য দিকে বাড়িতে বসে পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইসলামপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায় নজরে পড়ছে ছাত্রছাত্রীরা কেউ কেউ বন্ধ গেটের বাইরে, কেউ ছাতা খুলে পরীক্ষা দিচ্ছেন মাঠে। কলেজ সংলগ্ন এলাকার দোকানের বারান্দা, সিঁড়িতে গাদাগাদি করেও পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরা। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজলরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারা হয়তো ভেবেছেন কলেজ সংলগ্ন এলাকায় পরীক্ষা দিলে তাড়াতাড়ি খাতা জমা দিতে পারবেন। আমরা সেই মতো ব্যবস্থা নিয়েছি।’’

শুক্রবার ছিল কলেজের দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা। বেশ কিছু বিষয়ের অনার্স পেপারের পরীক্ষা হয় এ দিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন ছাত্রী বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকায় নেটের সমস্যা থাকে সব সময়। তাই এখানে চলে আসা।’’ কলেজ সংলগ্ন এলাকার এক ব্যবসায়ী রাজা রায় বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীরা সিঁড়ির কাছে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে দেখেও খারাপ লাগে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement